পার্লামেন্টে যাওয়া বড় বিষয় নয় : নোমান

নিউজ ডেস্ক : বর্তমান পার্লামেন্ট জনগণের কাছে কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় সুতরাং এই পার্লামেন্টে কে গেলো কে গেল না এটা বড় বিষয় নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল নোমান।

তিনি বলেন, ‘দেশে দীর্ঘদিন ধরে গণতন্ত্র অনুপস্থিত। এই গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার জন্য বুলেটের চেয়ে শক্তিশালী ব্যালটের একটি সুযোগ হয়েছিল গত ডিসেম্বরের ৩০ তারিখে। কিন্তু সেই সুযোগ আওয়ামী সন্ত্রাসীর পেশি শক্তির কাছে পরাজিত হয়েছে। ৩০ তারিখের ভোট ২৯ তারিখে হয়েছে। সুতরাং এই পার্লামেন্টে কে গেলো কে গেল না এটা আমার কাছে বড় বিষয় নয়। এই সংসদ জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। বরং দেশে যে জাতীয় সমস্যা চলছে সেই সমস্যা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির মাধ্যমেই সমাধান হবে।’
শনিবার (১১ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ভাসানী অনুসারী পরিষদ আয়োজিত মজুলম জননেতা মওলানা ভাসানীর ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চ দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

দেশে কোনো গণতন্ত্র নেই মন্তব্য করে নোমান বলেন, ‘গণতন্ত্রের জন্য আজও আমরা লড়াই করছি। উন্নয়নের নামে লুটপাট করছে ক্ষমতাসীনরা। ব্যাংকগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে। সরকারের উন্নয়নের রাজনীতি অসার হয়ে গেছে। বরাদ্দের নামে এমপিরা লুটপাট করছে। প্রবৃদ্ধিকেও আওয়ামীকরণ করা হয়েছে।’

গণতন্ত্রবিহীন উন্নয়ন কখনও গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করে তিনি। গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা ঐক্যফ্রন্ট প্রসঙ্গে বিএনপি সরকারের সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আমাদের রাজনীতির বিরাট একটি অর্জন। রাজনীতিতে এত অল্প সময়ে গড়ে ওঠা এই ইতিবাচক প্লাটফরমটিকে আরও সমৃদ্ধ করতে হবে।জাতির প্রয়োজনে এটি গঠিত হয়েছে। অন্য দলগুলোকে যোগ করে ঐক্যফ্রন্টকে আরও বেশি সমৃদ্ধ করতে হবে।’

মওলানা ভাসানীর স্মৃতিচারণ করে নোমান আরও বলেন, ‘মওলানা ভাসানী আজীবন শ্রমজীবী ও কৃষিজীবী মানুষের জন্য রাজনীতি করেছেন। ফারাক্কা অভিমুখে লংমার্চ যাত্রা এটা আমরা প্রথমে মওলানা ভাসানীর কাছেই শিখেছি। তার আদর্শে আনুপ্রাণিত ছিলাম আমরা। এখনও আছি।’