দুটি ট্রাক নিয়ে ভেঙ্গে পড়লো ‘ঝুকিপূর্ণ সেতু’

রাজশাহী: রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার হরিশংকরপুর এলাকায় দুটি ট্রাক নিয়ে একটি সেতু (বেইলি ব্রিজ) ভেঙে পড়েছে। আজ বুধবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় একটি ট্রাকের চালক ও চালকের সহকারী আহত হয়েছেন। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় লোকজন বলেন, আজ ভোরে গোদাগাড়ীর লালদীঘি এলাকায় রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়কে একটি আমের ট্রাক ও একটি বালির ট্রাকের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এরপর ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এ সময় ওই সড়কের গাড়িগুলো বিকল্প পথ হিসেবে একই উপজেলার বিজয়নগর-মাটিকাটা বাইপাস সংযোগ সড়কে চলাচল শুরু করে। ওই সড়কে চলাচলের জন্য রয়েছে ওই সেতুটি। ভোর পাঁচটার দিকে সেতুর ওপর দিয়ে একসঙ্গে সিমেন্টভর্তি তিনটি ট্রাক ওঠে। এরপর একটি ট্রাক পার হওয়ামাত্রই অপর দুটি ট্রাককে নিয়ে সেতুটি বিকট শব্দে ভেঙে পড়ে। এতে একটি ট্রাক পুরোপুরি উল্টে নিচে পড়ে যায়। আরেকটি সেতুর সঙ্গে ঝুলে থাকে। এরপর থেকেই ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, কয়েক বছর ধরে সেতুটির অবস্থা নাজুক। তাই সড়ক ও জনপথ বিভাগের পক্ষ থেকে সেতুর দুই পাশে ‘তিন টনের অধিক যান চলাচল নিষেধ’ লেখা–সংবলিত দুটি সাইনবোর্ড লাগানো ছিল। তবে দেখভালের কোনো লোক না থাকায় সব সময় সেতুটির ওপর দিয়ে পাঁচ টনের বেশি ওজনের যানবাহন চলাচল করত।

রাজশাহী সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হাসান বলেন, দুটি ট্রাক ৭০০ ব্যাগ করে সিমেন্ট নিয়ে সেতুতে উঠেছিল। সিমেন্টসহ একেকটি ট্রাকের ওজন প্রায় ৪০ টন করে হয়েছিল। এটা একটা পাগলামি হয়েছে। তিনি বলেন, ওয়েস্টার্ন বাংলাদেশ ব্রিজ ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় সেখানে নতুন একটি সেতু বসানো হবে। অচিরেই সেটা বসানো হবে। কিন্তু প্রাথমিকভাবে কাজ চলার জন্য আপাতত সেতুটি সংস্কার করা হবে।

সওজ সূত্রে জানা গেছে, ২০০০ সালের আগ পর্যন্ত রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ছিল এই সড়ক। ১৯৮০ সালের দিকে এই সেতুটি নির্মাণ করা হয়। এর দৈর্ঘ্য ৪৫ মিটার এবং প্রস্থ ১২ ফুট। গত কয়েক বছর আগে থেকেই সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ভারী যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছিল। ২০১৩ সালের দিকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ব্রিজটি পরিদর্শন করে দ্রুত সংস্কারের ঘোষণা দিয়েছিলেন।