‘গণতান্ত্রিক পবিবেশ আবদ্ধ’

গণতান্ত্রিক পবিবেশকে আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সোমবার (১১ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর ভাসানী মিলনায়তনে “কলঙ্কিত ১/১১ সংবিধান ও গণতন্ত্রের দু:সময়ের কাল” শীর্ষক আলোচনা সভায তিনি এ মন্তব্য করেন।

আলোচনা সভার আযোজন করে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, গণতান্ত্রিক পবিবেশকে আবদ্ধ। আমাদের সভা-সমাবেশ মিছিল-মিটিং করতে হলে অনুমতি নিয়ে করতে হয়। এখন এদেশে অনুমতি নিয়ে গণতন্ত্র চালাতে হয়। দেশের স্বাধীনতা , সার্বভৌমত্ব নষ্ট করেছে এ সরকার। আমাদের ভোট, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের দেওয়ার অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে।

১/১১ কথা আজকে কোন গণমাধ্যমে প্রকাশ না হওয়ায় বিষ্ময় প্রকাশ করে ফখরুল বলেন, আমরা এমন একটা জানি সবচেয়ে ভয়াবহ দিনটিকে আমরা মনে করি না। এদিনটি ছিল সাংবিধানিক শাসন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেশকে বিরাজনীতি করন করা। রাজনীতির শত্রুরা দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের ফল হচ্ছে ওয়ান ইলেভেনের অবৈধ সরকার।

তিনি বলেন, ফ্যাঁসিবাদী সরকারকে বাধ্য করতে হবে গণতান্ত্রিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে। সরকারকে বাধ্য করতে হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে। আমরা জানি ফ্যাঁসিবাদী কোনো সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করাটা কঠিন। তারপরেও আমাদের গণতন্ত্রের জন্য লড়াই অব্যাহত রাখতে হবে। এটা আম‍াদের অস্থিত্ব ও বেঁচে থাকার লড়াই।

শিক্ষকদের আন্দোলন সম্পর্কে মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে দেশে সর্বক্ষেত্রে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। সরকারের অন‍ুগত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা আন্দোলন করছে, ধর্মঘট করছে। অপর দিকে ২৬তম ক্যাডারাও বলছে তারাও আন্দোলন কর্মসূচির দিকে যাচ্ছে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, সরকার ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে বলে বেড়াচ্ছে আগে উন্নয়ন পরে গণতন্ত্র। তারা যে উন্নয়নের কথা বলছে কোথায় উন্নয়ন, কতটুকু উন্নয়ন হয়েছে।

ছাত্রদলের সহ-সভাপতি এজমল হোসেন পাইলটের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন- বিএনপির যুব বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহ দফতর সম্পাদক তাইফুন ইসলাম টিপু, ছাত্রদলের সহ সভাপতি নাজমুল হাসান, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, দফতর সম্পাদক আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী প্রমুখ।