কচুর বাম্পার ফলন

কচুর বাম্পার ফলন

নিউজ ডেস্ক: মৌলভীবাজারে কচুর বাম্পার ফলন পেয়েছেন কৃষক। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও জমি চাষের উপযোগী হওয়ার কারণে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে কচু চাষে বেশ ভালো ফলন পেয়েছেন চাষি। অন্যান্য ফসলের তুলনায় কচু চাষে লাভ ভালো পাওয়ায় কচু চাষে ঝুঁকছেন তারা। সবকিছু ঠিক থাকলে কচু বিক্রি করে লাভের আশা করছেন কৃষক।

সম্প্রতি মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল ইউনিয়নের কৃষক আবদুল মুহিত মুরাদ তার জমিতে এ কচু চাষ করে পুরোপুরিভাবে সফলতা অর্জন করেছেন। কচুর ব্যাপারে বেশ আত্মবিশ্বাসী তিনি। এ অভিজ্ঞতাটুকু অর্জনের পর তিনি কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন ভাবনাহীন সফল চাষ হিসেবে এ কচুকে নির্বাচিত করার জন্য। আবদুল মুহিত বলেন, আমি ১০ শতক জমিতে প্রায় এক সহস্রাধিক কচুর চাষ করে সব খরচ বাদ দিয়ে প্রায় ৫০ হাজার টাকা লাভ করেছি। এতে খরচ হয়েছে মাত্র ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা। এটি উচ্চফলনশীল জাতের। কম খরচে বেশি লাভ করা সম্ভব।

কচু চাষের জমিতে সার প্রয়োগ হিসেবে বলেন, গোবর সারের পাশাপাশি ইউরিয়া, টিএসপি, এমওপি এগুলো দিয়েছি। এর ফলে গাছের যথেষ্ট পরিমাণে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়ে মোটাতাজা হয়। দেখতে হৃষ্টপুষ্ট লাগে। অন্য সবজির মতো খুব বেশি যতœ করতে হয় না। বেশি পরিমাণে গোবর অর্থাৎ জৈব সার দেওয়ায় কচু খেতে সুস্বাদু লাগবে।

শ্রীমঙ্গলের কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জানায়, আমদের ভোক্তা শ্রেণির মধ্যেও কচুর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কৃষকদের এ ফসলটি চাষ করতে আমরা উদ্বুদ্ধ করি। এতে কম পরিশ্রমে লাভ বেশি পাওয়া যায়। দুই ধরনের কচু চাষ হয় সাদা ও কালো কচু। কালো কচু স্থানীয়ভাবে নারকেল কচু হিসেবে পরিচিত। সাদা কচুতে তুলনামূলক লতা বেশি হয়। তবে সবজি হিসেবে দুই ধরনের কচুই ভালো। এতে নানা পুষ্টিগুণ রয়েছে।

পুষ্টিবিদরা বলেন, কচুর আগাগোড়ায় অধিক পুষ্টিগুণ বিদ্যমান। মানুষের শরীর গঠনে ভালো ভূমিকা রাখে কচু। বিশেষ করে অন্তঃসত্ত্বা নারীদের জন্য কচুশাক খাওয়া খুবই জরুরি। কচুশাককে ব্লাড ব্যাংক বলা যায়। রক্তস্বল্পতা দূর করার জন্য কচুশাক অত্যন্ত উপকারী। তবে সবুজ কচুর চেয়ে কালো কচুতে পুষ্টিগুণ বেশি। কচুর লতায়ও সমান পুষ্টিগুণ রয়েছে। এই খাবার মানুষের শরীরের ওজন বাড়তে দেয় না।

সূত্র: ওয়েবসাইট