এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় বসছে সাড়ে ১৩ লাখ শিক্ষার্থী

নিউজ ডেস্ক:সোমবার (১ এপ্রিল) থেকে সারাদেশে একযোগে শুরু হচ্ছে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা। চলবে ৬ মে পর্যন্ত। তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হলে ৬ মে’র পর ব্যবহারিক পরীক্ষা শুরু হবে। এবার ২ হাজার ৫৭৯টি কেন্দ্রে দেশের ৯ হাজার ৮১টি প্রতিষ্ঠানের ১৩ লাখ ৫১ হাজার ৫০৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষার আসনে বসছে। এরমধ্যে ছাত্র ৬ লাখ ৬৪ হাজার ৪৯৬ জন এবং ছাত্রী ৬ লাখ ৮৭ হাজার ৯ জন। গত রবিবার (২৪ মার্চ) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
এবার ৮টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের আওতায় এইচএসসি পরীক্ষায় মোট অংশ নিচ্ছে ১১ লাখ ৪৭ হাজার ৭৪৭জন। এরমধ্যে ছাত্র ৫ লাখ ৭৩ হাজার ৮১২ জন এবং ছাত্রী ৫ লাখ ৬৪ হাজার ৯৩৫ জন। এই পরীক্ষায় কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষায় ১ লাখ ২৪ হাজার ২৬৫ জন এবং মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীন আলিম পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ৭৮ হাজার ৪৫১ জন।
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় এবার মোট ১ লাখ ২০ হাজার শিক্ষক দায়িত্ব পালন করবেন। মোট পরীক্ষার বিষয় ৫১টি ও পত্র ১০১টি। এবার বাংলা ভার্সনের জন্য সৃজনশীল রচনামূলক প্রশ্ন, বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য মোট ৯৫০টি প্রশ্নপত্র তৈরি করা হয়েছে। ইংলিশ ভার্সনের জন্য সৃজনশীল রচনামূলক প্রশ্ন, বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য মোট ৮৯২টি প্রশ্নপত্র তৈরি করা হয়েছে। ভিন্ন ভিন্ন বোর্ডের জন্যে ১৪টি বিষয়ের ২৭টি পত্রের জন্য সৃজনশীল রচনামূলক প্রশ্ন, বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য মোট ২ হাজার ১০০টি প্রশ্নপত্র তৈরি করা হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, প্রতিবারের মতো এবারও পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে সব পরীক্ষার্থীকে অবশ্যই পরীক্ষার হলে প্রবেশ করে আসন নিশ্চিত করতে হবে। অনিবার্য কারণে কোনও পরীক্ষার্থী পরে পরীক্ষা কেন্দ্রে আসলে রেজিস্ট্রারে নাম, ক্রমিক নম্বর ও বিলম্বের কারণ উল্লেখ করতে হবে। দেরিতে আসা পরীক্ষার্থীদের তালিকা প্রতিদিন কেন্দ্র সচিব সংশ্লিষ্ট বোর্ডকে জানাবে। কোনও কারণে পরীক্ষা দেরিতে শুরু হলে নির্ধারিত সময় ঠিক রেখে দেরিতেই শেষ হবে পরীক্ষা।

ডা. দীপু মনি আরও জানান, কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া পরীক্ষা কেন্দ্রে অন্য কেউ মোবাইল ফোন বা অননুমোদিত ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবেন না। কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছবি তোলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধাবিহীন একটি সাধারণ ফিচার ফোন ব্যবহার করতে পারবেন। অননুমোদিত ফোন বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।
এছাড়া পরীক্ষা শুরু হওয়ার ২৫ মিনিট আগে প্রশ্নের সেট কোড ঘোষণা করা হবে। সে অনুযায়ী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বা দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তার উপস্থিতিতে তার, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও পুলিশ কর্মকর্তার স্বাক্ষরে প্রশ্নপত্রের প্যাকেট বিধি অনুযায়ী খুলতে হবে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁস সংক্রান্ত গুজব কিংবা একাজে তৎপর চক্রগুলোর কার্যক্রমের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ নজরদারি করবে। প্রশ্নপত্র ফাঁস কিংবা পরীক্ষার্থীদের কাছে উত্তর সরবরাহে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও জেলা প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা নেবে।