উত্তরাঞ্চলে ভুট্টা চাষ এখন অর্থকারী ফসল

উত্তরাঞ্চলে ভুট্টা চাষ এখন অর্থকারী ফসল

নিজস্ব প্রতিবেদক :রংপুর, গাইবান্ধাসহ উত্তরাঞ্চলে তামাকের পরিবর্তে ভুট্টা চাষ এখন অর্থকরী ফসল। এসব এলাকার শতকরা ৯৯ শতাংশ লোক এখন তামাকের পরিবর্তে ভুট্টা চাষ করেন বলে মন্তব্য করেছেন গাইবান্ধা-৫ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদসের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়া।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সুশাসনের জন্য প্রচারাভিযান-সুপ্রর আয়োজনে ‘তামাক কোম্পানি থেকে সরকারের শেয়ার প্রত্যাহারে করণীয়’ শীর্ষক জাতীয় সংলাপে তিনি একথা বলেন।

ডেপুটি স্পিকার বলেন, তামাক চাষ এখন ব্যাপক ব্যয়বহুল। আর ভুট্টা চাষে একবার মাত্র পানি আর সার দিলেই হয়। তাই ভুট্টা চাষে ব্যাপক উৎসাহ দিতে ‘তামাক চাষ করো না ভুট্টা চাষ করো’-এই স্লোগানে আসতে হবে।

এ সময় ‘তামাক কোম্পানি থেকে সরকারের অংশীদারিত্ব প্রত্যাহারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব পেশ করবেন বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, ২০৪০ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার বাস্তবায়নে ব্রিটিশ-আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানি থেকে সরকারের ৯.৪৯ শতাশং শেয়ার প্রত্যাহার করার জন্য প্রস্তাব দেয়া হবে।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, তামাক অসংক্রামক রোগজনিত মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। অসংক্রামক রোগে প্রতিবছর বাংলাদেশে ৫ লাখ ৭২ হাজার মানুষ মারা যায়। এর মধ্যে শুধু তামাকজনিত রোগের কারণে মারা যায় ১ লাখ ২৬ হাজার। তাই এ খাতে বিনিয়োগ অব্যাহত রেখে ২০৩০ সালের মধ্যে অসংক্রামক রোগজনিত মৃত্যু এক-তৃতীয়াংশে নামিয়ে আনা সম্ভব নয়।

তারা আরও বলেন, তামাক খাতে সরকারের আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি। তামাকজনিত রোগে চিকিৎসা ব্যয় ৩০ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা, অথচ তার বিপরীতে রাজস্ব আয় ২২ হাজার ৮১০ কোটি টাকা। এ রকম ক্ষতিকর ও অলাভজনক খাতে বিনিয়োগ অব্যাহত রাখা সম্পূর্ণরূপে অযৌক্তিক।

ক্ষতিকর ও অলাভজনক তামাক খাত থেকে ইতোমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রত্যাহার করেছে। তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সরকারের উচিত অবিলম্বে ক্ষতিকর এই খাত থেকে বিনিয়োগ প্রত্যাহার করার দাবি জানান বক্তারা।