ইমরানের ভাষণে ভবিষ্যৎ পাকিস্তানের পররাষ্ট্র ও অর্থনৈতিক পরিকল্পনা

জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে নিজের অর্থ ও পররাষ্ট্র বিষয়ক পরিকল্পনা তুলে ধরেছেন সম্ভাব্য পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, জনগণের দেয়া ট্যাক্স জনগণের কল্যাণেই কাজে লাগাবেন। পররাষ্ট্র বিষয়ক পরিকল্পনার আভাস দিতে গিয়ে ভারত, যুক্তরাষ্ট্রসহ ইরান ও সৌদি আরবের সঙ্গে সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠারও ইঙ্গিত দিয়েছেন ইমরান।
চূড়ান্ত ফল ঘোষণার আগেই জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে ইমরান খান বলেন, আমাদের দেশ ঋণে জর্জরিত। উন্নতির জন্য ট্যাক্স প্রয়োজন। আপনারা তা দিতে চাইবেন না এটাই স্বাভাবিক। কারণ, আপনারা দেখেছেন ক্ষমতাসীনরা ট্যাক্সের টাকায় দুর্নীতি করেছে, অর্থ পাচার করেছে। আমি কথা দিচ্ছি আপনাদের ট্যাক্স সঠিক কাজে লাগাবো। দুর্নীতি দমন কমিশনকেও শক্তিশালী করা হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, আমাদের কর্মসংস্থানের অভাব। এই সংকট সমাধানে বিনিয়োগ দরকার। আর সেই বিনিয়োগ করতে টাকা লাগবে। আপনারা ট্যাক্স দিলেই সেই অর্থের জোগান সম্ভব।
পররাষ্ট্রনীতি প্রসঙ্গে ইমরান বলেন, চীনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ভালো। আমরা তাদের সঙ্গে কয়েকটি প্রকল্পে কাজ করছি। আমি চেষ্টা করবো এখানে যেন অনেক কর্মসংস্থান তৈরি হয়। ইমরান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও সম্পর্ক ভালো রাখতে চাই আমরা। আমরা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করবো। এছাড়া ইরান ও সৌদি আরবের সঙ্গেও সম্পর্ক সমুন্নত রাখতে চাই আমরা। মধ্যপ্রাচ্যে আমরা শান্তি বজায় রাখতে কাজ করবো।
ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের প্রশ্নে ইমরান বলেন, আমি একটু আফসোসের সঙ্গে বলছি, ভারতীয় মিডিয়া আমাকে সমর্থন দেয়নি। তারা যেন আমাকে বলিউডের ভিলেন মনে করে। অথচ আমি বিশ্বাস করি, ভারত ও পাকিস্তানের ভালো সম্পর্ক সবার জন্যই ভালো। ক্রিকেটের কারণে আমি ওখানে গেছি। আমি তাদের সংস্কৃতি চিনি। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের বন্ধুত্বই অনেক ভালো কাজে দেবে।
কাশ্মির ইস্যুর সমাধান দাবি করে ইমরান বলেন, সেখানকার বাসিন্দারা অনেক কষ্ট করছেন, অনেক দুর্দশা পোহাচ্ছেন। পাকিস্তান ও ভারত পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দিচ্ছে। দোষারোপ করে লাভ নেই। ভারতের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা এক পা এগিয় আসলে আমরা দুই পা এগিয়ে যাবো।