আম বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত চাষিরা

আম বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত চাষিরা

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সংবাদদাতা : আমের রাজধানী চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম গাছে মুকুল আসতে মাসখানেক দেরি। তবে খুলনাতে আগাম মুকুল দেখা দিয়েছে। অবশ্য দেশজুড়ে ফাল্লুনের গরম বাতাসে প্রায় সকল আম গাছে মুকুল আসবে। কিন্তু এরই মাঝে শুরু হয়ে গেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম চাষিদের আগাম আম বাগান পরিচর্যা।

মুকুল আসার আগ মুহূর্তে গাছের বাড়তি যতেœর প্রয়োজন হয়। তাই ছোট-বড় আম বাগান পরিচর্যায় চাষিরা বর্তমানে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তারা বাগানের আগাছা পরিষ্কার করে সেচ, সার দিচ্ছেন। পোকা দমনে স্প্রে করছেন কীটনাশক। এতে পোকা যেমন দূর হবে, তেমনি গাছে দেখা দেবে স্বাস্থ্যকর মুকুল। এতে করে ফলন ভাল আসবে। আর কিছুদিন আগে সামান্য পরিমাণ যে বৃষ্টি হয়েছে, তাতে আম চাষিদের উপকার হয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবছর দেশে উৎপাদিত মোট আমের সিংহভাগই উৎপাদিত হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জে। গত কয়েক বছর ধরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে দুইশো’র বেশি জাতের আম চাষ করা হয়ে থাকে। দিন দিন চাষিরা আম চাষে আরো আগ্রহী হয়ে উঠছেন। তারা সব সময় কৃষি অধিদপ্তরের পরামর্শ অনুযায়ী বাগানের পরিচর্চা করে থাকেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রায় ২২ হাজার হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়। দেশে প্রতিবছর গড়ে প্রায় সাড়ে ৭ লাখ মেট্রিক টন আম উৎপাদিত হয় যার মধ্যে শুধুমাত্র চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাতেই উৎপাদিত হয় প্রায় ২ লাখ মেট্রিক টন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের সবচেয়ে বড় উপজেলা শিবগঞ্জে সবচেয়ে বেশি আম চাষ হয়ে থাকে। এ উপজেলার ১৪ হাজার হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়ে থাকে। তাই কানসাটে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম আমের বাজার বসে।

শিবগঞ্জের আম চাষি ফজলু মিয়াঁ জানান, অধিক মুনাফার আশায় মৌসুমের আগেই বাগানের যতœ নেয়া শুরু করা হয়েছে। এতে গাছে অধিক মুকুল আসার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। আর আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ভাল ফলন হবে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মঞ্জুরুল হুদা জানান, সামনের দিনগুলোতে আবহাওয়া ভাল থাকলে এবারও আমের বাম্পার ফলন হবে। এ বিষয়ে চাষিদের বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। আর চাষিরাও অধিক ফলনের আশায় সে অনুযায়ী কাজ করছেন।