অ্যাজমা প্রতিরোধে পেঁয়াজ

নিউজ ডেস্ক:অ্যাজমার লক্ষণ থেকে মুক্তি দেয় পেঁয়াজ। খাবারের সঙ্গে পেঁয়াজ খাওয়া প্রথম শুরু হয় ইরান, আফগানিস্তান, পাকিস্তান এসব অঞ্চলে। অবশ্য কয়েক হাজার বছর আগে চীনেও পেঁয়াজ খাওয়ার প্রচলন ছিল। প্রাচীন বেদ গ্রন্থে পেঁয়াজের কথা পাওয়া যায়। প্রাচীন গ্রিসে অলিম্পিক খেলা শুরুর আগে ক্রীড়াবিদরা পেঁয়াজ গ্রহণ করতেন, পেঁয়াজের রস পান করতেন এবং পেঁয়াজের প্রলেপ গায়েও মাখতেন।
এক কাপ পরিমাণ পেঁয়াজের টুকরো থেকে ৬৪ ক্যালরি, ১৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ২ থেকে ৩ গ্রাম ফাইবার, ৭ গ্রাম চিনি, ২ গ্রাম প্রোটিন এবং দৈনন্দিন চাহিদার ১০ শতাংশ ভিটামিন-সি পাওয়া যায়। এছাড়া সামান্য পরিমাণে ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফলিক এসিড, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম ও ফসফরাস পাওয়া যায়। পেঁয়াজে বিভিন্ন সালফিউরিক উপাদান রয়েছে, যা ফ্লেবোনয়েড ও ফাইটো কেমিক্যালের উৎকৃষ্ট উৎস।
পেঁয়াজ যেসব কাজ করে : পেঁয়াজ ডায়রিয়া প্রতিরোধ ও চিকিৎসায় সাহায্য করে। অতিরিক্ত ইনসুলিন উৎপাদনে পেঁয়াজের সালফারের ভূমিকা রয়েছে। পেঁয়াজের মধ্যে অ্যান্টি-ক্যানসারের বৈশিষ্ট্য রয়েছে। গবেষণা থেকে জানা যায়, ফ্লেবোনয়েড আলঝেইমার, পারকিনসন, হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি হ্রাস করে। কুয়ারসেটিন নামে একটি বিশেষ ফ্লেবোনয়েড ক্যানসার প্রতিরোধে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। পেঁয়াজ কুয়ারসেটিন শ্বাস-প্রশ্বাসে যুক্ত পেশিকে শিথিল করে অ্যাজমার লক্ষণ থেকে মুক্তি দেয়। এভাবে পেঁয়াজ টাইপ টু ডায়াবেটিস, চোখের ক্যাটারেক্টস, উচ্চ রক্তচাপ, হুপিং কফ, ব্রংকাইটিস ও ডিহাইড্রেশন ইত্যাদি রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। পেঁয়াজ ঘুম ও ক্ষুধা বৃদ্ধির মাত্রা স্বাভাবিক রাখে।