ইইউ-ইউএসে’র মধ্যে নতুন চুক্তি অনুমোদিত

ডেস্ক: ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে নতুন চুক্তি অনুমোদন করেছে ইউরোপের সরকারগুলো।

এতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যক্তিগত তথ্য থেকে শুরু করে অনলাইন বিজ্ঞাপনের জন্য ব্যবহারকারীদের আচরণ পর্যবেক্ষণসহ সবকিছুই অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

মার্কিন ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি বা এনএসএ সেইফ হারবার ব্যবহার করে তথ্য প্রবাহে ব্যাপকভাবে নজর রাখছে – তা প্রমাণিত হওয়ার সূত্রে ২০১৫ সালের অক্টোবরে এ চুক্তি বাতিল হওয়ার পর নতুন প্রাইভেসি শিল্ড চুক্তির ফলে পূর্ববর্তী চুক্তির ত্রুটিগুলো কাটাতে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর দীর্ঘ প্রতীক্ষারও অবসান হল।

ইসি-এর জাস্টিস কমিশনার ভেরা জরোভা জানান, ইউরোপিয়ান কমিশনের সদস্য রাষ্ট্রগুলো এ প্রাইভেসি শিল্ডের পক্ষে “জোরালো সমর্থন” দিয়েছে। এর ফলে আগামী সপ্তাহের শুরুতে এ চুক্তি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি পাওয়ার পক্ষে সম্ভাবনা জোরদার হয়েছে বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, “ব্যক্তিগত এবং ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে আইনানুগ পর্যায়ে উচ্চ মাত্রার সুরক্ষা নিশ্চিত করবে ইইউ-ইউএস প্রাইভেসি শিল্ড। এটি পুর্ববর্তী সেইফ হারবারের তুলনায় সম্পূর্ণ ভিন্ন।”

যুক্তরাজ্যের বহু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্বকারী প্রতিষ্ঠান সিবি আই জানায়, এই চুক্তির ফলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো স্বাভাবিকের মতোই ব্যবসা পরিচালনায় ফিরে যেতে পারবে।

প্রতিষ্ঠানটির সহকারী পরিচালক জশ হার্ডি বলেন, “ব্রেক্সিট-এর পর আমাদের ভবিষ্যত অর্থনৈতিক সম্পর্কের জন্য যুক্তরাজ্যের প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে আমাদের সবচেয়ে বড় ব্যবসায়িক অংশীদারগুলোর মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন তথ্য আদান-প্রদান করতে পারে তা নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ।”

টেক জায়ান্ট গুগল ও অ্যাপলের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিত্বকারী প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল ইউরোপ এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক জন হিগিন্স বলেন, “নতুন কাঠামো চালু করতে এবং এ সহযোগিতা কার্যক্রমের পথে প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে আরও শক্তিশালী নীতিমালা বিবেচনায় আমাদের সদস্যেরা প্রস্তুত।”

সূত্র: বিবিসি