দুই বছরে ১৪ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান, এখনো বেকার ২৬ লাখ

দেশে দুই বছরের ব্যবধানে নতুন করে ১৪ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। ২০১৩ সাল থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে এই কর্মসংস্থান হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ জরিপে দেশে বেকারত্বের হার কিছুটা কমেছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে পরিচালিত এই জরিপে দেখা গেছে, বেকারত্বের হার দাঁড়িয়েছে মোট শ্রমশক্তির ৪ দশমিক ২ শতাংশ। ওই সময়ে বেকার লোকের সংখ্যা ২৬ লাখ।

এর আগে ২০১৩ সালে যে জরিপ করা হয় সেখানে বেকারত্বের হার ছিল ৪ দশমিক ৩ শতাংশ। কিন্তু বেকারের সংখ্যা ২৬ লাখই ছিল। ২০১৩ সালের পর থেকে গত বছরের জুন পর্যন্ত সময়ে দেশে ১৪ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে।

বিবিএস জানিয়েছে, ২০১৫ সালের জুন শেষে দেশে কর্মসংস্থান পাওয়া মানুষের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় পাঁচ কোটি ৯৫ লাখে। ২০১৩ সাল শেষে ছিল পাঁচ কোটি ৮১ লাখ।

রোববার প্রকাশিত ত্রৈমাসিক শ্রমশক্তি জরিপ ২০১৫-১৬ প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিবিএসের সম্মেলনকক্ষে সাংবাদিকদের সামনে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন পরিচালক কবির উদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, ২০১৫ সালের জুলাই থেকে ২০১৬ সালের জুন পর্যন্ত বছরব্যাপী এক লাখ ২৩ হাজার খানা থেকে বিবিএস তথ্য সংগ্রহ করেছে। এর আগে ২০১৩ সালের জরিপে মাত্র ৩৬ হাজার খানা থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছিল। নতুন জরিপটি কলেবর বাড়িয়ে পরিচালনা করা হয়েছে।

নতুন জরিপ অনুযায়ী, দেশে মোট ছয় কোটি ২১ লাখ শ্রমশক্তির মধ্যে ২৬ লাখ লোক বেকার রয়েছে। বাকি পাঁচ কোটি ৯৫ লাখ মানুষের হাতে কাজ আছে।

কবির উদ্দিন বলেন, আগের জরিপের তুলনায় বেকারের সংখ্যা বাড়েনি, অপরিবর্তিতই রয়েছে। ২০১৩ ও ২০১০ সালের শ্রমশক্তি জরিপে বাংলাদেশে বেকারের সংখ্যা ২৬ লাখ দেখানো হয়েছিল।

সর্বশেষ জরিপ অনুযায়ী, দেশে ১৫ বছরের বেশি বয়সী জনসংখ্যা ১০ কোটি ৬১ লাখ, যাদের মধ্যে ছয় কোটি ২১ লাখ কর্মক্ষম। বাকি চার কোটি ৪০ লাখ মানুষ শ্রমশক্তির আওতার বাইরে রযেছে।

কবির উদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, ২০১৩ সালের শ্রম জরিপের তুলনায় ৪ দশমিক ২ শতাংশ শ্রমশক্তি বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৫ সালে শ্রমবাজারে কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা ১৪ লাখ বেড়ে ছয় কোটি ২১ লাখে বেড়ে দাঁড়িয়েছে।