পাঠ্যপুস্তকে অনৈসলামী ভাষা-সংস্কৃতি শিক্ষা নিয়ে সমালোচনার ঝড়

ডেস্ক: অনলাইনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেই শুধু নয়, বর্তমানে পাঠ্যপুস্তকের ভুল নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে চায়ের দোকানেও। বিগত বছর পাঠ্যপুস্তকের ভুল ও হিন্দু-নাস্তিক্যবাদী শিক্ষা নিয়ে তুমুল ঝড় ওঠে অনলাইনসহ বিভিন্ন মহলে। নতুন বছরে (২০১৭ সালে) এই বিতর্কের অবসান ঘটবে বলে সবারই আশা ছিলো। কিন্তু জাতীয় পাঠ্যপুস্তক বোর্ড সে আশায় গুড়ে বালি দিয়েছে। কিছুটা পরিবর্তন বা সংযোজন-বিয়োজন করে ২০১৭ সালের পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন করা হলে নতুন করে বিতর্কের ঝর তোলে নাস্তিক্যবাদী ও কথিত প্রগতিশীল মহল। তাদের দাবিকৃত ও উত্থাপিত সমস্যার নাম ‘ও-তে ওড়না’।

অপরদিকে পাঠ্যপুস্তক থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের ও নাস্তিক্যবাদী কিছু বিতর্কিত গল্প-কবিতা বাতিল করা হলেও সিংহভাগই রয়ে যাওয়ায় আবারো গরম হয়ে ওঠে সংখ্যাগরিষ্ঠ ‍মুসলিম সমাজ। এ নিয়ে সামাজিক গণমাধ্যমে তাদের বহু প্রচারিত (ভাইরাল) যে লেখাটি তার ভাষ্য হচ্ছে এমন- “পাঠ্যবই পড়ানো হয় কোনো বিশেষ শিক্ষা দেয়ার জন্য। যেমন- বাংলা পাঠ্যবই পড়ানো হয় বাংলা ভাষাশিক্ষার জন্য। কিন্তু বাংলা বইয়ের ভাষা শিক্ষার আড়ালে শিক্ষার্থীর অবচেতন মনে প্রবেশ করানো হচ্ছে অমুসলিম-বিধর্মীদের ইসলামবিরোধী শব্দ, ভাষা ও সংস্কৃতি। যেমন ৪র্থ শ্রেণীর ‘আমার বাংলা বই’-এর ৩৭ পৃষ্ঠায় অন্নদাস শঙ্কর রায়ের একটি কবিতা পড়ানো হচ্ছে- যেখানে শিক্ষার্থীদের ‘ভজন’ ও ‘প্রসাদ’র সাথে পরিচয় করানো হচ্ছে। উল্লেখ্য, ‘ভজন’ হচ্ছে অমুসলিমদের (হিন্দু) ধর্মীয় গানের অন্তর্ভুক্ত এবং ‘প্রসাদ’ হচ্ছে অমুসলিমদের দেব-দেবীর জন্য উৎসর্গীত পূজার বিশেষ খাবারের নাম। অথচ এই কবিতাটি পড়ে কেউ স্বাভাবিকভাবে বুঝতে পারবে না কবিতাটি অমুসলিম (হিন্দু) ধর্মাবলম্বীদের কবিতা।”

শিক্ষা বিশেষজ্ঞদের অভিযোগ, বর্তমানের পাঠ্যপুস্তকে এরকম ভুরিভুরি অনৈসলামী তথা মুসলিমবিরোধী সাইকোলোজিক্যাল মেসেজ আছে, যা শিক্ষার্থীদের অবচেতন মনকে একটি নির্দিষ্ট দিকে ধাবিত করছে। তারা বলেন, আমরা ভাষা শিক্ষার পক্ষে, আমরা অংক শিক্ষার পক্ষে, কিন্তু সেই শিক্ষার মাধ্যমে কেন ইসলামবিরোধী শিক্ষা ও চিহ্নিত একটি ধর্মের শিক্ষা-সংস্কৃতি মুসলিম শিক্ষার্থীদের অবচেতন মনে প্রবেশ করানো হবে?

মুসলিম অভিবাবক মহলও এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা সন্তানদের ভবিষ্যৎ ইসলামী মন-মানসিকতা নিয়ে চিন্তিত। তারা পাঠ্যবইয়ের এসব বিতর্কিত লেখনী বাদ দেয়ার দাবি করেন।