সুপ্রিম কোর্টের ভাস্কর্য সরানোর পক্ষে প্রধানমন্ত্রীও
সুপ্রিম কোর্টে স্থাপিত ভাস্কর্য অপসারণের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “আমি নিজেও এটা পছন্দ করিনি। বলা হচ্ছে এটা নাকি গ্রিক মূর্তি… আমাদের এখানে গ্রিক মূর্তি আসবে কেন? আমি নিজে ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, এটা এখানে থাকা উচিৎ না। এটা কেন করা হল? কারা করল? কীভাবে, জানি না।”
“গ্রিকদের পোশাক ছিল এক রকম। এখানে আবার দেখি শাড়ি পরিয়ে দিয়েছে। এটাও হাস্যকর হয়েছে।”
মঙ্গলবার রাতে গণভবনে কওমি মাদ্রাসার নেতৃপ্রধানদের সঙ্গে এক সাক্ষাত অনুষ্ঠানে এই প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, “প্রধান বিচারপতির সঙ্গে খুব শিগগিরই বসব। আপনারা ধৈর্য ধরেন, এটা নিয়ে হৈ চৈ করা নয়। আমার উপর আপনারা এটুকু ভরসা রাখবেন। এটায় যা যা করা দরকার আমরা তা তা করব।”
রোমান যুগের ন্যায়বিচারের প্রতীক ‘লেডি জাস্টিস’র আদলে একটি ভাস্কর্য কিছুদিন আগে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত প্রাঙ্গণে স্থাপন করা হয়।
এরপর থেকে আওয়ামী ওলামালীগসহ কয়েকটি ইসলামী সংগঠন এই মুর্তি অপসারনের জন্য আন্দোলন করে আসছে। মুর্তিটি স্থাপন করার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতেও গণমানুষের তীব্র সমালোচনা প্রকাশিত হচ্ছে।
গণভবনের বৈঠকে শোলাকিয়ার ইমাম মওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ জাতীয় ঈদগাহের পাশেই স্থাপিত ‘মূর্তি’ সরানোর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।