তৈরি হচ্ছে ৫০০ শয্যার শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউট

ঢাকা: রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বলি, কিংবা দুর্ঘটনায় আগুনে প্রতিবছর দ্বগ্ধ হচ্ছেন কয়েক লাখ মানুষ। তাদের চিকিৎসার জন্য এবার রাজধানী ঢাকায় গড়ে তোলা হচ্ছে ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট ১৭ তলা শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাষ্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছেন, ২০১৮ সালের মধ্যেই এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। এই ইনস্টিটিউটটি চালু হলে দেশের চিকিৎসা সেবা অনেক দুর এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। আগুনের নৃশংসতায় পুড়ে যাওয়া মানুষদের ভরসার জায়গা এই ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিট।

১৯৮৬ সালে একটি ওয়ার্ডে মাত্র ৫ টি বেড নিয়ে চালু হয় এই বার্ন বিভাগ। বর্তমানে এতে সিট রয়েছে ৩০০টি। কিন্তু প্রতিনিয়তই আগুনে দগ্ধ হয়ে এখানে চিকিৎসা নিচ্ছে সাড়ে চার শতাধিক রোগী। ফলে, তাদের পক্ষে প্রয়োজনীয় সেবা পাওয়া সম্ভব হয় না।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে বিভিন্ন দুর্ঘটনায় প্রতি বছর ৬ লাখের বেশী মানুষ দগ্ধ হোন। তাদের চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ ডাক্তার রয়েছেন মাত্র ৫২ জন। তাই সবদিক বিবেচনা আগুনে দ্ধগ্ধদের বিশ্বমানের চিকিৎসা সেবা দিতে রাজধানীতে গড়ে তোলা হচ্ছে স্বতন্ত্র বার্ন ও প্লাষ্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট।

শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাষ্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক ডা.সামন্তলাল সেন বলেছে, ‘প্রতিবছর প্রায় ৬ লক্ষ মানুষ বিভিন্ন কারণে আগুনে পুড়ে যায়। তাদের সবাই যদি ঢাকায় আসে তাহলেতো তিল ধারণের জায়গা থাকবেনা। সতন্ত্র বার্ন ও প্লাষ্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটটি হলে অনেক উপকৃত হবে।’

সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, প্রায় সাড়ে পাঁচশ কোটি টাকা অর্থায়নে গড়ে উঠছে এই প্রকল্প। ২০১৮ সালের মধ্যেই এই প্রকল্পের সব কাজ শেষ হবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘এই কাজটি সেনাবাহিনীকে দিয়ে করানো হচ্ছে যাতে ঠিক সময়ে কাজটি শেষ হয়।’

৫০০ শয্যাবিশিষ্ট এই ইনস্টিটিউটে একসাথে ৮০০ জন রোগি সেবা নিতে পারবেন।