মহিলা সিটে পুরুষ বসলে জেল-জরিমানা

ঢাকা: সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বৈঠকে ‘সড়ক পরিবহন আইন- ২০১৭’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন পেয়েছে আজ সোমবার । আইন অনুযায়ী গণপরিবহনে নারী, শিশু, প্রতিবন্ধী ও বয়স্কদের জন্য সংরক্ষিত আসনে অন্য কোনো যাত্রী বসলে এক মাসের কারাদণ্ড বা ৫ হাজার টাকা জরিমানা গুণতে হবে।

এতে বলা হয়েছে, মোটরসাইকেলের চালক ও সহযাত্রীর হেলমেট না থাকলেও সর্বোচ্চ তিন মাস কারাদণ্ড বা ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড দেয়া হবে।

মোটরসাইকেলে চালক ছাড়া একজনের বেশি সহযাত্রী নিলে সর্বোচ্চ তিন মাস কারাদণ্ড বা ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড দেয়া হবে।

গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে ১ মাস কারাদণ্ড বা ৫ হাজার টাকা জরিমানা। আর বেপরোয়া গাড়ি চালানোর দুর্ঘটনায় তিন বছর জেল বা ২৫ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডই হতে পারে।

প্রস্তাবিত আইনে সাধারণ চালকের বয়স ১৮ বছর ও পেশাদার চালকের বয়স ২১ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ ছাড়া মদ পান করে বা নেশাজতীয় দ্রব্য খেয়ে যানবাহন চালালে এবং ফুটপাতের ওপর দিয়ে কোনো মোটরযান চলাচল করলেও একই শাস্তি দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।

প্রস্তাবিত ‘সড়ক পরিবহন আইন ২০১৭’-এ এমন শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।

এই শাস্তির বিধান রেখে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ নতুন আইনের যে খসড়া করেছে, তাতে সোমবার সম্মতি দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম জানান, মোটরযান চলাচলে সাধারণ নির্দেশাবলী নামে একটি নতুন ধারায় ২৫টি নির্দেশনা যুক্ত করা হয়েছে।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “মহিলা, শিশু, প্রতিবন্ধী এবং বয়োজ্যেষ্ঠ যাত্রীর জন্য সংরক্ষিত আসনে অন্য কোনো যাত্রী বসবেন না বা বসার অনুমতি দেওয়া যাবে না।এটা লঙ্ঘন করলে একমাসের কারাদণ্ড বা পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড করা হবে।

“মহিলাদের সিটে বসতে না দিয়ে যদি অন্য কেউ (পুরুষ যাত্রী) বসে যায় তার জন্য একমাসের জেল বা ৫ হাজার টাকা জরিমানার প্রস্তাব করা হয়েছে।”

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশে ১৯৮৩ সালের মোটরযান অধ্যাদেশকে নতুন আইনে পরিণত করা হয়েছে।

নতুন আইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে ন্যূনতম অষ্টম শ্রেণি পাসের বাধ্যবাধকতা এবং গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।