পশ্চিমবঙ্গে ধর্মভিত্তিক সহিংসতা বাড়ছে

মমতা ব্যানার্জির আমলেই পশ্চিমবঙ্গে সবচেয়ে বেশি ধর্ম-জাতি-ভিত্তিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল পার্লামেন্টে তথ্য তুলে ধরে এই দাবি করলো ভারতের প্রতিমন্ত্রী কিরণ রিজিজু। গত তিন বছরের একটি তালিকা গত সোমবার প্রকাশ করে ভারতের প্রতিমন্ত্রী। সেখানেই এই চাঞ্চল্যকর তথ্যটি উঠে এসেছে। তবে বরাবরের মতোই তালিকার শীর্ষে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ।
গত বছর ১৬২টি এই ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে অখিলেশ যাদবের রাজ্য উত্তরপ্রদেশে। পার্লামেন্টে এক প্রশ্নের জবাবে এদিন বক্তব্য পেশ করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কিরণ রিজিজু। ভারতজুড়ে সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনার পরিসংখ্যানে সে জানায় ২০১৬ সালে গোটা ভারতে মোট ৭০৩টি সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০১৪ সালে পশ্চিমবঙ্গে ১৬টি এই ধরনের সহিংসতা ঘটনা ঘটেছিল। তাতে মৃত্যু হয় ৬ জনের। এর ঠিক পরের বছর অর্থাৎ ২০১৫ সালে এই ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা একলাফে বেড়ে দাঁড়ায় ২৭। মৃত্যু হয় ৫ জনের। সেই ক্ষেত্রে আহতের সংখ্যা ছিল ৮৪। এরপর পরিসংখ্যান বলছে গত বছর সংঘর্ষের ঘটনা আগের সব রেকর্ডকে ছাপিয়ে যায়। ২০১৬ সালে ৩২টি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে মমতা ব্যানার্জির রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে। ফলে এখানেই প্রশ্ন উঠছে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে। হিংসা-সংঘর্ষের ঘটনা যে ভাবে বছরের পর বছর বাড়ছে আগামী দিনে তা একটা খারাপ ইঙ্গিত বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।
তবে পশ্চিমবঙ্গের থেকে আরো খারাপ অবস্থা উত্তরপ্রদেশে। সংঘর্ষের তালিকায় বরাবরই শীর্ষে থাকে উত্তরপ্রদেশ। পার্লামেন্টে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর দেয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছর এই রাজ্যে ধর্ম ও জাতপাতের ভিত্তিতে মোট ১৬২টি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তালিকায় চমকপ্রদ অবস্থায় রয়েছে কর্ণাটক। ১০১টি এই ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্যে। তবে মজার বিষয়ে যেখানে ২০১৫তে মহারাষ্ট্রে ধর্ম ও জাতপাতের ভিত্তিতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে ১০৫টি সেখানে গত বছরে তা কমে দাঁড়ায় ৬৮টিতে।