ভারতের ঘোষণায় ‘বিচলিত’ রানা দাশগুপ্ত

ঢাকা: বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন সময় ‘সাম্প্রদায়িক সহিংসতার’ কারণে যেসব হিন্দু ভারতে আশ্রয় নিয়েছে, ভারত সরকার তাদের নাগরিকত্ব দিলে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন বাড়বে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতারা।

মঙ্গলবার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেছেন বাংলাদেশে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতা অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত।

দাশগুপ্ত বলেন, ‘আমাদের আশংকা, ভারতের এ ধরনের ঘোষণায় বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন বাড়বে।’

বাংলাদেশে যারা হিন্দুদের উচ্ছেদ করে তাদের জমি-জায়গা দখল করতে চায় তারা ভারতের উদ্যোগে আরো উৎসাহিত হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

দাশগুপ্ত বলেন, বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়া হিন্দুদের নাগরিকত্ব দেবার উদ্যোগে তারা উদ্বিগ্ন।

তিনি বলেন, ‘এমন কোনো সিদ্ধান্ত ভারতের নেয়া উচিত নয়, যা এদেশের সংখ্যালঘু নাগরিকদের দেশত্যাগে উৎসাহিত করবে।’

‘নাগরিকত্ব দেবার যে সিদ্ধান্ত তারা (ভারত) ঘোষণা করেছে – এ সিদ্ধান্তে আমরা ক্ষুদ্ধ , আমরা বিচলিত।’
সম্প্রতি রানাদাশ গুপ্তের বরাত দিয়ে ভারতের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম পিটিআই খবর দিয়েছে যে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূমিকা রাখা উচিত।

কিন্তু আজ সংবাদ সম্মেলনে রানাদাশ গুপ্ত দাবি করেন, তিনি এ ধরনের কোনো মন্তব্য করেননি।
তিনি জানান, পিটিআই তাকে ভুলভাবে উদ্ধৃত করেছে। এজন্য তিনি সংবাদমাধ্যমটির কাছে একটি প্রতিবাদপত্রও পাঠিয়েছেন বলে দাবি করেন।

বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন সময় ‘সহিংসতার শিকার হয়ে’ যেসব হিন্দু ভারতে আশ্রয় নিয়েছে তাদের নাগরিকত্ব দেবার বিষয়ে নরেন্দ্র মোদির সরকার চিন্তাভাবনা করছে বলে সম্প্রতি খবর বেরিয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তব্য দেন বাংলাদেশ হিন্দু বোদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি বীর উত্তম মেজর জেনারেল সি আর দত্ত, সভাপতি উষাতন তালুকদার, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং, পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জয়ন্ত সেন দীপু, বাংলাদেশ খ্রিষ্টান অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব নির্মল রোজারিও প্রমুখ।