রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে বার্ষিক ক্ষতি ১০০ মিলিয়ন ডলার
![](https://i0.wp.com/newsnine24.com/wp-content/uploads/2016/10/rampal-coal-power-plant.png?fit=1200%2C665&ssl=1)
ঢাকা: রামপাল কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বার্ষিক ক্ষতির পরিমাণ ১০০ মিলিয়ন ডলার ছাডিয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে পানিজ প্রাণী-বন্যপ্রাণী এবং মানুষের ওপর নতুন করে হুমকি তৈরি করবে। বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির উদ্যেগে ‘রামপাল তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের কয়লার ছাই অপসারণে সম্ভাব্য বিপদাপন্ন পরিবেশ নিরুপন প্রতিবেদন’ প্রকাশ উপলক্ষে এমনটাই জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা। এ সময় আমেরিকা থেকে ডিজিটাল কনফারেন্সের মাধ্যমে গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করে অধ্যাপক এ ডেনিস লেমলি।
সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির আহবায়ক সুলতানা কামালের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল বাসার এবং আব্দুল আজিজ, ওয়াটার কিপার বাংলাদেশের সমন্বায়ক সরিফ জামিল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিওলজি বিভাগের অধ্যাপক বদরুল ইমাম এবং কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন প্রমূখ।
রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অর্থনৈতিক বার্ষিক ক্ষতির পরিমান প্রতি বছর খুব সহজেই ১০০ মিলিয়ন ডলার ছাডিয়ে যেতে পারে উল্লেখ করে বিশ্লেষকরা বলছে, যা পরিবেশ এবং জনসম্পদের ক্ষতির মাধ্যমেই সাধিত হবে। প্রকল্পটি চালু হলে সুন্দরবন এবং তার আশপাশের এলাকাগুলোতে বড় ধরনের পরিবেশ বিপর্যয় ঘটবে। রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়লার ছাই, মাছ এবং বন্যপ্রাণীর ওপর মারাত্বক বিষাক্ততা সৃষ্টি করবে। যা শুক্রাণু ও ডিম্বাসয়ের ক্ষতিসহ মানুষের উপর দীর্ঘ মেয়াদি প্রভাব বিস্তার করবে। বিজ্ঞানীদের বিভিন্ন গবেষণা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বিশ্লেষকরা এ কথা বলেন। বিশ্লেষকরা আরো জানিয়েছে, রামপাল প্লান্টটি বায়ুর ঝুঁকি অঞ্চলে হওয়ায় ঘুর্নিঝড়ের ফলে পানিউচ্ছাসের ঝুঁকিতে রয়েছে। সেখানে বাৎসরিক ৭,৪ মিটার পানিউচ্ছাসের পূর্বাভাস করা হয়েছে যা কয়লার ছাইয়ের পুকুরের দেয়াল ভেঙে ফেলতে পারে। এ কারণে মিলিয়ন টনের ছাইকে সুন্দরবন বদ্বীপ ও বঙ্গোপসাগরে ডাম্পিং করতে পারে।