নানা সমস্যায় প্রশ্নের মুখে প্রাথমিক শিক্ষার মান

ঢাকা: বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় জাতীয় পাঠ্যপুস্তকে প্রকাশিত নানান ভুল-ভ্রান্তি এখন বহুলসমালোচিত। তার উপর নতুন করে দেখা দিয়েছে প্রাথমিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ে। সরকারি প্রাথমিক স্কুলে নানা সমস্যা ও শিক্ষক সংকটের কারণে শিক্ষার মান দিন দিন তলানিতে গিয়ে ঠেকছে। আর্থিকভাবে সচ্ছল অনেক অভিভাবকই তাই মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন এসব স্কুল থেকে।

গবেষকরা বলছেন, স্কুলের পরিবেশ ও মান রক্ষায় শিক্ষক বাড়ানোর পাশাপাশি বাড়াতে হবে তদারকিও। কর্তৃপক্ষ বলছে, স্কুলের আনন্দঘন পরিবেশ নিশ্চিত করে এসডিজি অর্জনে সব পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।

ছুটির ঘণ্টা। যা ক্লাস শুরু বা শেষ হওয়ার কাজে ব্যবহৃত হওয়ার কথা। তবে রাজধানী ঢাকার পাশে বসিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাসে শিক্ষক না আসায় এ ছুটির ঘণ্টা নিয়েই খেলায় মেতে উঠেছে ছাত্র-ছাত্রীরা।

স্কুলের ভিতরকার অবস্থা আরো ভয়াবহ। জরাজীর্ণ ক্লাস রুম, স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশ, আলো স্বল্পতা ও মাঠ সংকটের বোঝা নিয়ে প্রতিনিয়ত নিজেদের শিক্ষার ভিত মজবুত করছে দেশের দেড় কোটি ক্ষুদে শিক্ষার্থী। এক রকম বেহাল অবস্থার মধ্য দিয়েই চলছে দেশের বেশীর ভাগ সরকারি স্কুলের শিক্ষাদান। তবে সবকিছু ছাপিয়ে স্কুলগুলোতে শিক্ষক সংকট দিন দিন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।

সরকারি তথ্যমতে, দেশের ৬৩ হাজার সরকারি প্রাথমিক স্কুলের জন্য শিক্ষক আছে সোয়া তিন লাখ। গড়ে প্রতিটি স্কুলের শিক্ষক মাত্র ৫ জন করে। যাদের বেশীর ভাগই যোগ্যতা থাকলেও শুধু নজরদারির অভাবে তাদের ছাত্র-ছাত্রীর প্রতি যথেষ্ট যত্নশীল নন বলে অভিযোগ গবেষকদের।

ঢাবি শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউট সহকারী অধ্যাপক মো. আলমগীর হোসাইন বলেন, ‘সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের আরও বেশি যত্নশীল হওয়া দরকার। সেটা হয় না যেটা প্রাইভেট স্কুলে হচ্ছে। স্কুলের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য অবশ্যই জনবল নিয়োগ করতে হবে।’

শিক্ষাবিদদের মতে, প্রাথমিক পর্যায়ের এ বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী যদি প্রতিবছর মানহীন শিক্ষা নিয়ে বড় হতে থাকে তাহলে সামগ্রিকভাবে দেশকে এগিয়ে নেয়া কঠিন হয়ে পড়বে।-সময়টিভি