২০৩০ সালের আগেই দারিদ্র্য শূন্যে নামবে: অর্থমন্ত্রী

জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অনুযায়ী ২০৩০ সাল পর্যন্ত সময় থাকলেও তার আগেই বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার শূন্যে নামবে বলে আশা করছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিমের আসন্ন ঢাকা সফরকে দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশের সাফল‌্যের ‘স্বীকৃতি’ হিসেবে দেখছেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে শুক্রবার বিশ্ব ব্যাংক-আইএমএফের বার্ষিক সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, “বিশ্ব ব্যাংক প্রেসিডেন্টের ঢাকা সফর আমাদের জন্য একটি গর্বের বিষয় (ইটস এ ম্যাটার অফ প্রাইড)।

“আমরা দারিদ্র্য বিমোচনে যে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছি সেটা সরেজমিনে দেখতেই তিনি (কিম) বাংলাদেশ সফরে যাচ্ছেন।

“ইট ইজ এ গুড ওকেশান অব পাবলিসিটি ইন বাংলাদেশ। ইটস এ গুড রিকগনিশন অব পারফরমেন্স অব বাংলাদেশ।”

দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশের অর্জনকে ‘অবশ্যই সাকসেস’ বলেন মুহিত।

বিশ্ব ব্যাংকের হিসাবে, ২০১৫-১৬ অর্থবছর শেষে বাংলাদেশে অতি দারিদ্র্যের হার মোট জনসংখ্যার ১২ দশমিক ৯ শতাংশে নেমে এসেছে, যেখানে ২০০৯-১০ অর্থবছর শেষে এ হার ছিল সাড়ে ১৮ শতাংশ।

দ্রুত কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানোর ওপর গুরুত্ব দিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, “তবে এটা আমি জোর দিয়ে বলতে পারি, আমাদের দারিদ্র্য শূন‌্যে নামিয়ে আনতে কোনো মতেই ২০৩০ সাল লাগবে না। তার আগেই আমরা সে লক্ষ্যে পৌঁছে যাব।”

জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যে (এসডিজি )  ২০৩০ সালের মধ্যে অতি দরিদ্র মানুষের সংখ্যা শূন‌্য থেকে ৩ শতাংশে নামিয়ে আনার কথা বলা হয়েছে।

ঢাকা সফর নিয়ে বিশ্ব ব্যাংক প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় কোনো বৈঠক হবে  কি না- এ প্রশ্নের ‍জবাবে মুহিত বলেন, “না, আমার সঙ্গে আনুষ্ঠানিক কোনো বৈঠক হবে না। সব কিছুই তো আগেই ঠিক হয়ে আছে।”

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন, অস্ট্রেলিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী কেভিন রুডসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শীর্ষ কয়েকজন অর্থনীতিবিদ বক্তৃতা করবেন ওই অনুষ্ঠানে।

ঢাকায় অবস্থানকালে কিম শেখ হাসিনা ও অর্থমন্ত্রী মুহিতের সঙ্গে একান্ত বৈঠক করবেন।