এসএসএফ সদস্যদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা:  “আমার ওপর বিভিন্ন সময়ে হামলা হয়েছে। মহান আল্লাহ রব্বুল আলামিনের ইচ্ছায় রক্ষা পেয়েছি। একটা বিষয় নিয়ে বেশি চিন্তায় থাকি, যারা আমার নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে, আমার কারণে তাদের যেনো কোনো ক্ষতি হয়ে না যায়।”

মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনা বলেছেন, মানুষের উন্নয়নে যে কোনো ত্যাগ স্বীকার করতে তিনি প্রস্তুত। দেশের মানুষের কল্যাণ করাই তার লক্ষ্য। নিজের নিরাপত্তা নিয়ে বেশি চিন্তিত নন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছেলেমেয়ের সঙ্গে বেশি সময় কাটানোর জন্য মা-বাবাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “ছেলেমেয়েদের কাছে টেনে নিন। তাদের সঙ্গে মন খুলে গল্প করুন। ছেলেমেয়েরাও যেন মা-বাবার সঙ্গে মন খুলে গল্প করতে পারে, পরিবারে সেই পরিবেশ তৈরি করুন।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ছেলেমেয়েদের সময় দেয়া মা-বাবার কর্তব্য বলে মনে করি। সন্তানকে সময় দিতে হবে। তাদের খোঁজখবর নিতে হবে। তারা কার সঙ্গে মেশে, কোথায় যায়, সেটা জানতে হবে। সন্তানেরা যেন ধর্মীয় শিক্ষা সঠিকভাবে পায়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কেনোনা, সব ধর্মই শান্তির কথা বলে।”

শেখ হাসিনা বলেন, “জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে। ধর্মকে অবমাননা ও অসম্মানিত করা সহ্য করা হবে না। এ ক্ষেত্রে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সমাজে সচেতনতা বাড়াতে হবে।”

তিনি বলেন, “শিক্ষিত ছেলেমেয়েদের মধ্যে কীভাবে ধর্মান্ধতা ঢুকছে, সেই শিকড় খুঁজে বের করতে হবে। এর পেছনে কারা কারা অর্থ দিচ্ছে, কারা ছেলেমেয়েদের মানসিক বিপর্যয় ঘটাচ্ছে, প্রশিক্ষণ দিচ্ছে, সেটা বের করতে হবে।”

তিনি আরো বলেন, “সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের ধরন পাল্টাচ্ছে। সে কারণে বাহিনীগুলোকে এটা নির্মূলে আধুনিক ব্যবস্থা নিতে হবে।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সন্ত্রাসীরা এখন ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। তাই প্রতিরোধেও আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করতে হবে। এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে পারদর্শী হতে হবে।”