সেনা পদোন্নতির ক্ষেত্রে দেশপ্রেমিকদের প্রাধান্য দিতে হবে: প্রধানমন্ত্রীর

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেনাবাহিনীতে পদোন্নতির ক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী ও দেশপ্রেমিক যোগ্য নেতৃত্ব খুঁজে বের করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আপনাদেরকে সব কিছুর উর্র্ধ্বে থেকে নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে বিচার বিশ্লেষণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী দেশপ্রেমিক যোগ্য নেতৃত্ব খুঁজে বের করতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ ঢাকা সেনানিবাসে সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদ-২০১৬’এ দেয়া বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা সুশিক্ষিত, কর্মক্ষম, সচেতন, বুদ্ধিমান এবং সর্বোপরি গণতন্ত্রকে সুসংহত করার জন্য দৃঢ় প্রত্যয়ের অধিকারী- এমন যোগ্য অফিসারদের কাছে নেতৃত্ব ন্যস্ত করতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ হাজার বছরের বাঙালি জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে উজ্জ্বল ও গৌরবময় অধ্যায়। আদর্শগতভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সামরিক বাহিনীর জন্য অত্যন্ত মৌলিক এবং মুখ্য বিষয়। আপনাদের সব সময় লক্ষ্য রাখতে হবে, যাতে সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব ন্যস্ত হয় তাদেরই হাতে যারা দেশপ্রেমিক ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী।
তিনি বলেন, ‘আপনাদেরকে সব কিছুর ঊর্ধ্বে থেকে নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে বিচার বিশ্লেষণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী দেশপ্রেমিক যোগ্য নেতৃত্ব খুঁজে বের করতে হবে।

তিনি বলেন, আমি খুবই আনন্দিত যে- সেনাবাহিনীর অফিসারদের পদোন্নতির জন্য ট্রেস (ট্রেস-টার্বুলেটেড রেকর্ড এন্ড কমপারেটিভ ইভ্যুলুশন) এর মত একটি আধুনিক পদ্ধতির উপর জোর দেয়া হয়। যা কিনা পেশাগত দক্ষতার বিভিন্ন দিকের তুলনামূলক মূল্যায়ণ প্রকাশ করে।

একজন অফিসার কেবল একটি পদ বা নিযুক্তির জন্যই যোগ্য না হয়ে বরং বিভিন্ন প্রকার নিযুক্তি যেমন- কমান্ড, স্টাফ, প্রশিক্ষকসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নিযুক্তির জন্য উপযুক্ত হন। বিভিন্ন পর্যায়ে তাদের শিক্ষা, মনোভাব, সামাজিকতা, চারিত্রিক বৈশিষ্ট নিরীক্ষা করেই পদোন্নতি প্রদান করতে হবে বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পদোন্নতির ক্ষেত্রে শৃঙ্খলার বিষয়টি অন্য কোন গুণাবলীর সাথে তুলনীয় নয়। শৃঙ্খলার সঙ্গে কোনো প্রকার আপোষ অবশ্যই বর্জনীয়।’
কেবল একাডেমিক ও কারিগরি জ্ঞানে দক্ষ হলে হবে না। মাঠে কর্মতৎপরতায় কর্মকৌশলী, ত্বরিত এবং দক্ষ হতে হবে বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।

প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, সেনাপ্রধান জেনারেল আবু বেলাল মুহাম্মদ শফিউল হক, মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, সশস্ত্রবাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লে. জেনারেল এম মাহফুজুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।