১৭১৭টি অনলাইন পত্রিকার নিবন্ধনের আবেদন

ঢাকা: ১৭১৭টি অনলাইন পত্রিকা নিবন্ধনের জন্য তথ্য অধিদপ্তরে আবেদন করেছে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।

রোববার জাতীয় সংসদের একাদশতম অধিবেশনে মোহাম্মদ ইলিয়াছের টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান মন্ত্রী।

সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনের কার্যসূচি শুরু হয়।

তথ্যমন্ত্রী জানান, বর্তমানে অনুমোদিত বেসরকারি স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলের সংখ্যা ৪১টি। অনুমোদিত এফএম বেতারের সংখ্যা ২৮টি, অনুমোদিত কমিউনিটি রেডিও সংখ্যা ৩২টি এবং দৈনিক পত্রিকার সংখ্যা ১০৮৬টি।

অনলাইনভিত্তিক টিভি চ্যানেল, অনলাইন রেডিও, অনলাইন পত্রিকার প্রকৃত সংখ্যা তথ্য মন্ত্রণালয়ে বর্তমানে লিপিবদ্ধ নেই বলে জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, অবৈধ ও অনিবন্ধিত অনলাইনভিত্তিক টিভি চ্যানেল, অনলাইন রেডিও, অনলাইন পত্রিকাসমূহকে বিধি-বিধানের আওতায় আনয়নসহ দায়বদ্ধতা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রণয়নে সরকার নিবন্ধন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। এই উদ্দেশ্যে সরকার ‘অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা, ২০১৬’ প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ইতিমধ্যে অনলাইনভিত্তিক পত্রিকা, রেডিও, টিভি চ্যানেলগুলো নিবন্ধন কার্যক্রমের আওতায় আনয়নে আবেদন দাখিলের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।

উক্ত বিজ্ঞপ্তিতে ইতিমধ্যে ১০৫টি অনলাইন টিভি চ্যানেল, ১৮টি অনলাইন রেডিও এবং ১৭১৭টি অনলাইন পত্রিকা নিবন্ধনের জন্য তথ্য অধিদপ্তরে আবেদন করেছে বলে জানান মন্ত্রী।

সরকার দলীয় সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর অপর প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী জানান, বর্তমানে সারা দেশে ১০৮৬টি দৈনিক পত্রিকা রয়েছে। তার মধ্যে চারটি জেলার একটি করে পত্রিকা রয়েছে। অন্যদিকে লালমনিরহাটে কোনো দৈনিক পত্রিকা নেই। তবে সবচেয়ে বেশি দৈনিক পত্রিকা রয়েছে ঢাকা জেলায়। এখানে দৈনিক পত্রিকার সংখ্যা ৪০২টি।