দেশের অগ্রযাত্রাকে কেউ বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না : বাণিজ্যমন্ত্রী

কুড়িগ্রাম : জেলার প্রধান নদ-নদীর পানি বাড়তে থাকায় কুড়িগ্রামের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ৪৬ ও ধরলার পানি বিপদসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় (বৃহষ্পতিবার ভোর ৬টা থেকে শুক্রবার ভোর ৬টা) ব্রহ্মপুত্র নদে ২৪ সেন্টিমিটার, ধরলায় ২৪, তিস্তায় ১৮ ও দুধকুমারে ১৯ সেন্টমিটার পানি বেড়েছে।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগণ জানান, ব্রহ্মপুত্র, ধরলা ও দুধকুমার অববাহিকার ৪০টি ইউনিয়নের প্রায় আড়াই শতাধিক ছোট-বড় চরগ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী রয়েছে কমপক্ষে ৭৫ হাজার মানুষ। গত দু’দিনে নদীর ভাঙনে আরো শতাধিক পরিবার গৃহহীন হয়েছে। নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে একটি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ভাঙনের ঝুঁকিতে আরো কয়েকটি স্কুল, রাস্তা ও বাঁধ রয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহফুজার রহমান জানান, আগামী ২৪ ঘন্টায় ধরলায় পানি কিছুটা কমলেও বাড়তে পারে ব্রহ্মপুত্রে।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক খান নুরুল আমিন জানান, বন্যা ও ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে ৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ও ৯২ মে. টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। দ্রুত তা বিতরণ শুরু হবে।