চলে গেলেন গুলিবিদ্ধ নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান

জয়পুরহাট: সাত দিন আগে সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহত জয়পুরহাট সদর উপজেলার ভাদসা ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ মারা গেছেন। আজ রোববার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

এদিকে হামলায় ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই আসামি আজ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, গত ৩১ মার্চ দ্বিতীয় ধাপের ভাদসা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে জয়ী হন আবুল কালাম। পরাজিত হন আওয়ামী লীগের দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী হাতেম আলী। ৪ জুন রাত ১০টার দিকে তিনি দুর্গাদহ বাজার থেকে তাঁর এক হিন্দু প্রতিবেশী পবিত্র চন্দ্রকে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে কোঁচকুঁড়ি গ্রামে নিজ বাড়ি ফিরছিলেন। বাড়ির অদূরে গোপালপুর-কোঁচকুঁড়ি রাস্তায় পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে এবং গুলি করে তাঁকে আহত করে। এ সময় পবিত্র মণ্ডল চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। তাঁর চিৎকারে এক পথচারী এগিয়ে গেলে দুর্বৃত্তরা তাঁকেও গুলি করে পালিয়ে যায়। দুজনকেই ঢাকায় নিয়ে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজ সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে চেয়ারম্যান মারা যান।

পুলিশ জানায়, ঘটনার পরদিন ৫ জুন আবুল কালাম আজাদের ছোট ভাই এনামুল হক জয়পুরহাট সদর থানায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা সাতজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। গতকাল শনিবার পুলিশ এজাহারভুক্ত সৈকত হোসেন ও মো. হাকিমকে গ্রেপ্তার করে। আজ তাঁরা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

জানতে চাইলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ হোসেন বলেন, হত্যার কারণ ও জড়িত ব্যক্তিদের সম্পর্কে তথ্য দিয়ে দুই আসামি আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। তদন্তের স্বার্থে তথ্য প্রকাশ করা যাচ্ছে না। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
ওসি বলেন, আবুল কালাম আজাদের মৃত্যু হওয়ায় মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হবে।