ভারতে শৌচালয় ব্যবহার করলেই অর্থ!

ডেস্ক: ভারতের ৬২ কোটি ৬০ লাখ মানুষ খোলা জায়গায় মল ত্যাগ করে। দেশটির প্রভাবশালী ইংরেজি দৈনিক ‘ দ্য হিন্দু’ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু’র দেয়া পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে এ খবর দিয়েছে। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে- বিশ্বে যারা খোলা জায়গায় মলত্যাগ করে তাদের ষাট শতাংশের বসবাস ভারতে। হু’র হিসাবে-খোলা জায়গায় মলত্যাগের দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়া এবং দেশটির ছয় কোটি ৩০ লাখ মানুষ নিয়মিত এ কাজ করে থাকে। প্রকাশ্যে শৌচ বন্ধ করতে বিভিন্ন কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। নানাভাবে ছড়ানো হয়েছে সচেতনতা। তবে সবাইকে ছাপিয়ে গেল বারমের। জেলাশাসকের তরফে সেখানে ঘোষণা করা হয়েছে নয়া প্রকল্পের কথা। যে পরিবারের সদস্যরা নিয়মিত শৌচালয় ব্যবহার করবে, সেই পরিবারকে প্রতি মাসে ২৫০০ টাকা করে দেয়ার ঘোষণা করা হয়েছে।
সারা দেশে এই প্রকল্প নজিরবিহীন। প্রকল্পের কথা নিশ্চিত করেছে রাজস্থানের বারমার জেলাশাসক সুধীর শর্মা। সে জানিয়েছে, গ্রামের মানুষ যাতে প্রকাশ্যে শৌচ বন্ধ করে তার জন্যই এই পদক্ষেপ। দুটি গ্রাম পঞ্চায়েতের জন্য এই ঘোষণা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৮টি পরিবারকে টাকাও দেয়া হয়েছে। গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীর সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেই এ কাজ করা হচ্ছে। শৌচালয় নির্মাণ করে দেয়ার পাশাপাশি, তা নিয়মিত ব্যবহার করা হচ্ছে কিনা, তাও নজরে রাখা হচ্ছে।  স্বচ্ছ ভারত অভিযানে প্রকাশ্যে শৌচ বন্ধ করার ডাক দিয়েছিলো প্রধানমন্ত্রী। ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠান থেকে একাধিকবার সে এ আহ্বান জানিয়েছে। তার নির্দেশ মেনেই বিভিন্ন জায়গায় চলছে নানা সচেতনতা প্রচার। তবে বারমেরের জেলাশাসকের এ পদক্ষেপ যে দেশে নজির গড়লো তা বলাই বাহুল্য।
ইউনিসেফ এবং হু’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১০ সালে বিশ্বে ৯৪ কোটি মানুষ খোলা জায়গায় মলত্যাগ করেছে। এ জনসংখ্যার বড় অংশই গ্রামে বাস করে। অবশ্য, ১৯৯০ সালের তুলনায় খোলা জায়গায় মলত্যাগের অভ্যাস ছেড়েছে বিশ্বের ২৩ কোটি ৪০ লাখ মানুষ। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে “এখনো যারা এ অভ্যাস ধরে রাখতে বাধ্য হয়েছে তারা ভারতসহ বিশ্বের হাতে গোনা কয়েকটি দেশের অধিবাসী।”