মীর কাসেমের রিভিউ শুনানি এক মাস পেছাল

ঢাকা: একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদণ্ডের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদনের ওপর শুনানি এক মাস পিছিয়ে আগামী ২৪ আগস্ট পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। মীর কাসেমের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ গতকাল শুনানির এ তারিখ পুনর্নির্ধারণ করেন।

জামায়াতের এ নেতার রিভিউ আবেদন শুনানির জন্য গতকাল প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চের কার্যতালিকায় আসে। এর সঙ্গে রিভিউ শুনানি মুলতবির জন্য আসামিপক্ষের একটি আবেদনও যুক্ত ছিল। রিভিউ শুনানির প্রস্তুতির জন্য দুই মাস সময় চাওয়া হয় আবেদনে। এর ওপর গতকাল শুনানি হয়।

শুনানিতে মীর কাসেমের আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, আপিল বিভাগের রায়ে এ মামলার অভিযোগ গঠনের আদেশ ত্রুটিপূর্ণ বলা হয়েছে। বিষয়টি বিশ্লেষণ ও প্রস্তুতির জন্য দুই মাস সময় প্রয়োজন। শীর্ষনেতাদের মামলার মধ্যে এটাই শেষ। তাই ধীরে-সুস্থে শুনানি করতে চাই।

রাষ্ট্রপক্ষে আদালতে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তিনি বলেন, চেম্বার বিচারপতি দীর্ঘ সময় দিয়ে দিন ধার্য করেছিলেন, প্রস্তুতির জন্য যা যথেষ্ট।

শুনানি শেষে এক মাসের সময় মঞ্জুর করে আদেশ দেন আদালত। আসামিপক্ষ ৯ সেপ্টেম্বরের পর দিন ধার্যের প্রার্থনা করলেও তখন অবকাশ শুরু হবে মনে করিয়ে দিয়ে ২৪ আগস্ট দিন ধার্য করেন আদালত।

মীর কাসেম আলীকে দেয়া ট্রাইব্যুনালের রায় বহাল রেখে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় গত ৬ জুন প্রকাশ হয়। এর পর মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। কারাগারে মীর কাসেম আলীকে মৃত্যু পরোয়ানা পড়েও শোনানো হয়। এর পর গত রোববার রিভিউ আবেদন করেন তিনি।

২০১২ সালের ১৭ জুন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেফতার হন মীর কাসেম আলী। ২০১৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর তার বিরুদ্ধে ১৪টি অভিযোগ গঠন করে বিচারকাজ শুরু করেন ট্রাইব্যুনাল। ২০১৪ সালের ২ নভেম্বর মামলার রায় ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনাল। রায়ে মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে ১০টি অভিযোগ প্রমাণ হয়। এর মধ্যে দুটি অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ড ও আটটি অভিযোগে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়।

ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ৩০ নভেম্বর আপিল করেন মীর কাসেম আলী। গত ৯ ফেব্রুয়ারি আপিলের শুনানি শুরু হয়ে শেষ হয় ২৪ ফেব্রুয়ারি।