টিআর ও কাবিখা প্রকল্পে কোটি কোটি টাকা চুরি হয় : ইনু

ঢাকা: প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য টিআর ও কাবিখা প্রকল্পের প্রায় পুরোটাই চুরি হয় মন্তব্য করে জনপ্রতিনিধি-আমলা উভয়কে এ দুর্নীতির জন্য দায়ী করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।

“আমি তো এমপি আমি জানি, টিআর কীভাবে চুরি হয়। সরকার ৩০০ টন দেয়, এরমধ্যে এমপি সাহেব আগে দেড়শ টন চুরি করে নেয়। তারপর অন্যরা ভাগ করে। সব এমপি করে না। তবে এমপিরা করেন।”

রোববার ‘বাংলাদেশ সামিট: টেকসই উন্নয়ন ২০১৬’ শীর্ষক দুদিনব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।

এই দুর্নীতির কথা সবার ‘জানা’ থাকলেও বন্ধ করার কোনো উদ্যোগ নেই স্বীকার করে তিনি বলেন, “আমরা চোখ বন্ধ করে টিআরের এই চুরি এলাউ (অনুমোদন) করছি।

“কোটি কোটি টাকার চুরি। আমি হিসাব করে দেখেছি, টিআর দিয়ে সোনার মসজিদ বানিয়ে দেওয়া যায়, এত টাকা।”

এই দুর্নীতি বন্ধে প্রকল্পগুলো বাদ দিয়ে পল্লী রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছে দাবি জানান ইনু।

“আমাদের সম্পদের সমস্যা, অথচ সম্পদ ছিটিয়ে দিচ্ছেন! কাকে দিচ্ছেন? একজন আমলাকে বড় লোক করার জন্য? একজন এমপিকে বড় লোক করার জন্য? উপজেলা বা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে বড় লোক করার জন্য? তালিকা করে প্রয়োজনীয় লোকদের রেশন দেন। তাহলে চুরিটা তো বন্ধ হবে।”

বৈদেশিক সহায়তাসহ বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় করতে না পারার প্রসঙ্গ তুলে তথ্যমন্ত্রী অর্থ ব্যয়ের সক্ষমতা বাড়াতে ইউনিয়ন পরিষদকে সরাসরি বরাদ্দ দেওয়ার সুপারিশ করেন।

পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন পিকেএসএফ চেয়ারম্যান কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে লিঙ্গ বৈষম্য দূর করতে হবে। এজন্য সাধারণ মানুষের বাজারে ঢোকার প্রবেশগম্যতা, ক্ষমতার কাঠামো প্রবেশগম্যতা, মানব সম্পদের ক্ষেত্রগুলোতে প্রবেশগম্যতা, সম্পদের কাছে যাওয়ার প্রবেশগম্যতা বাড়াতে হবে।

“কোন দেশে কয়জন প্রধানমন্ত্রী নারী হলেন বা কটা এমপি, স্পিকার বা বিরোধীদলীয় নেতা নারী হলেন, তার উপর ভিত্তি করে নারীর ক্ষমতার মাপকাঠি নির্ধারণ করা যায় না।”