জনসংখ্যার অভাবে চরম অর্থনৈতিক মন্দায় জাপান

কথিত অর্থনীতিবিদরা বলছে, ২০১৪ সালের পর আবারও মন্দায় পড়ায় অর্থনীতিতে প্রণোদনা চালিয়ে যেতে জাপান দেশটিতে সরকারের উপর বাড়তি চাপ তৈরি হবে। প্রশ্ন জাগতে পারে, জাপানের মতো দেশের নতুন করে চাঙা হতে সমস্যা কোথায়! কী জন্য এমনটা হচ্ছে সে দেশের অর্থনীতিতে! এক্ষেত্রে প্রধান যে বিষয়টি চলে আসছে, সেটি হলো, তীব্র লোকবল সঙ্কট। মূলত সম্পূর্ণ বিষয়টি মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে কঠিন গযবস্বরূপ, যা দেশটিতি মুসলমানগণ উনাদের প্রতি যুলুম-নির্যাতনের শাস্তি সরূপ নাযিল হয়ে চলেছে।
যার ফলে চাহিদামতো দক্ষ জনবল না থাকায় কয়েক বছর ধরে চলতে থাকা অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে উঠতে পারছে না দেশটি। কমছে প্রবৃদ্ধি। অর্থনীতিতে বিপুল অঙ্কের প্রণোদনা দিলেও সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। ২০১৪ সালে ভোক্তা কর বৃদ্ধি করায় অর্থনৈতিক মন্দায় পড়ে জাপান। ওই বছর দেশটির বাণিজ্য ঘাটতি হয় রেকর্ড ১০৯ বিলিয়ন ডলার। অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার করতে জাপানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক তখন কয়েক দফায় প্রণোদনা ঘোষণা করে।
জাপানের নেগেটিভ জন্মহারের কারণে ক্রম হ্রাসমান জনসংখ্যা এবং একই সঙ্গে আয়ু বৃদ্ধির ফলে বয়োবৃদ্ধ নাগরিকের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় দিন দিন ব্যাপক কর্ম-সক্ষম লোকের সংখ্যা কমছে দেশটিতে।
সর্বশেষ লোকগণনা অনুযায়ী, গত পাঁচ বছরে জাপানের মোট জনসংখ্যা থেকে ১০ লাখ লোক কমে গেছে। অর্থাৎ দেশটিতে জন্মহার আশঙ্কাজনক হারে পড়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে এরই মধ্যে ঘোষণা দিয়েছে, জন্মহার বাড়াতে হবে। পাশাপাশি অধিক সংখ্যক বিদেশী কর্মী নেয়ার পরিকল্পনা করছে দেশটি।
জাপানে বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া এবং অত্যন্ত কম জন্মহারের কারণে যে নিজস্ব লোকবলের সঙ্কট সৃষ্টি হচ্ছে, তা সমাধানে একাধিকবার অভিবাসন প্রক্রিয়ায় সংস্কার করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড পাবলিক অ্যাফেয়ার্সের অর্থনীতিবিদ তাকাতোশি ইতো কিংবা অর্থনীতিবিদ জেরাল্ড কুর্তিস মনে করে, জাপানে বৃদ্ধদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। উচ্চ হারে সঞ্চয়ের যে ঐতিহ্য তাদের রয়েছে, তা-ও মুখ থুবড়ে পড়ছে। (ইন্টারনেট অবলম্বনে)