প্রতিবেশী শ্রমিক ধর্মঘটে অচল ভারত

ডেস্ক: উচ্চ মজুরির দাবিতে এবং সরকারের অর্থনৈতিক সংস্কারের প্রতিবাদে ভারতের লাখ লাখ শ্রমিক শুক্রবার ধর্মঘট পালন করেছে।
সেন্টার অব ইন্ডিয়ান ট্রেড ইউনিয়নের মহাসচিব তপন সেন বিবিসি’কে বলেন, বিভিন্ন শিল্পের ১৫ কোটির বেশি শ্রমিক ধর্মঘটে অংশ নিয়েছে।
তবে ট্রেড ইউনিয়ন থেকে এ সংক্রান্ত কোনও প্রমাণ উপস্থাপণ করা হয়নি।

ধর্মঘটের কারণে বেশিরভাগ সরকারি অফিস, ব্যাংক, স্কুল ও কারখানা বন্ধ ছিল। দেশজুড়ে বিশেষ করে কর্নাটক ও কেরালায় গণপরিবহন ব্যবস্থাও বাধাগ্রস্ত হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গ ও উড়িষ্যায় শ্রমিকদের রেলপথ অবরোধ করে পতাকা হাতে অবস্থান ধর্মঘট পালন করতে দেখা গেছে।
রাজধানী দিল্লি বা মুম্বইয়ের মতো বাণিজ্য শহরে তেমন কোনও প্রভাব দেখা না গেলেও ১০ শ্রমিক সংগঠনের ডাকা সর্বভারতীয় ধর্মঘটে তিন রাজ্য কেরালা, ত্রিপুরা এবং কর্নাটকে প্রায় সর্বাত্মক ধর্মঘটের চেহারা দেখা গেছে। এছাড়াও ধর্মঘটের ব্যাপক প্রভাব পড়েছে তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা আর হিমাচল প্রদেশেও।

পশ্চিম বঙ্গ পুলিশ জানায়, দুইটি সরকারি বাসে হামলার অভিযোগে ২০ জনের বেশি বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে।
দেশের অর্থনীতির উন্নতির জন্য অর্থনৈতিক সংস্কার জরুরি বলে জানিয়েছে ভারত সরকার।

অর্থনৈতিক সংস্কার বিলে সরকার ব্যাংক, টেলিযোগাযোগ ও উৎপাদন শিল্পের শ্রমিকদের দাবি আমলে নেয়নি বলে জানান ট্রেড ইউনিয়নের নেতারা।
সরকারি পেনশন ফান্ডের অর্থ শেয়ার বাজারে আরও বেশি করে বিনিয়োগের যে নির্দেশনা সরকার দিয়েছে ট্রেড ইউনিয়নের নেতারা তারও বিরোধিতা করেন।

২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিজেপি সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে অর্থনৈতিক সংস্কারের মাধ্যমে শ্রম আইন সহজ করার চেষ্টা করছে।
এছাড়া, রাষ্ট্র মালিকানাধীন ওইসব কোম্পানি যেগুলো বড় ধরনের লোকসানের মধ্যে রয়েছে সেগুলো বিক্রি করে দেওয়ার পরিকল্পনাও করেছে মোদী সরকার।