ইনু আ. লীগের ‘ঘরের শত্রু বিভীষণ’: নোমান

ঢাকা: তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুকে আওয়ামী লীগের ‘ঘরের শত্রু বিভীষণ’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান।

শুক্রবার বিকেলে নগরীর রেলওয়ে অফিসার্স ক্লাবে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল বিভাগীয় কমিটি আয়োজিত এক ইফতার পূর্ব আলোচনা সভায় নোমান এ মন্তব্য করেন।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৩৫তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে এই ইফতার ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

সাবেক মন্ত্রী নোমান বলেন, “বাহাত্তর থেকে ৭৫ সালে গণবাহিনী গঠন করে জাসদ কর্তৃক সশস্ত্র সংগ্রামের আহ্বানের মাধ্যমে শেখ মুজিব হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষাপট তৈরির অন্যতম কারিগর ছিলেন হাসানুল হক ইনু- এই বাস্তব সত্য উপলব্ধি করায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে ধন্যবাদ।

“শাক দিয়ে মাছ ঢাকা যায় না। হাসানুল হক ইনু আওয়ামী লীগের ঘরের শত্রু বিভীষণ- এটাই বাস্তবতা।”
গত সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের বর্ধিত সভায় জাসদকে ‘হঠকারী দল’ আখ্যায়িত করে পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু হত্যার ক্ষেত্র তৈরির জন্য ওই দলটিকে দায়ী করেন সৈয়দ আশরাফ।

এরপর জাসদের বিভিন্ন অংশের নেতার পাশাপাশি আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা এবং হাসানুল হক ইনু এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানান।
শুক্রবারের সভায় নোমান বলেন, “রাজনৈতিকভাবে ভিন্ন মতের মানুষকে দমন করে কখনও জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ থেকে মুক্ত হওয়া যাবে না।
“এই জাতীয় সংকট নিরসন করার জন্য সর্বদলীয় সংলাপ আহ্বান করতে হবে এবং অতিদ্রুত সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় প্রত্যাবর্তন করতে হবে। অন্যথায় বাংলাদেশ কার্যত একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হবে।”

বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নামে একের পর এক মামলায় চার্জশিট দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন নোমান।
তিনি বলেন, “মামলা-হামলা এবং জেলের ভয় দেখিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন থেকে দেশনেত্রীকে বিরত রাখা যাবে না। দমন-পীড়ন যত বাড়বে গণআন্দোলন তত বেশি জোরদার ও বেগবান হবে।”

বিভাগীয় শ্রমিক দলের সভাপতি এ এ এম নাজিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন।

বিশেষ বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের যুগ্ম সম্পাদক শেখ নুরুল্লাহ বাহার।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শ্রমিক দল নেতা শ. ম জামাল, শামসুল আলমি, বিএনপি নেতা এম এ সবুর, কাজী বেলাল প্রমুখ।