কুঋণের পাহাড়ের নিচে চাপা পড়েছে ভারত

ডেস্ক: রীতিমতো কুঋণের পাহাড়ের নিচে চাপা পড়েছে ভারত। বিভিন্ন আবাসন সম্পত্তির বিপরীতে বিপুল পরিমাণ ঋণ গ্রহণ করলেও গ্রহীতারা শেষ পর্যন্ত তা পরিশোধে ব্যর্থ হয়েছেন। এসব আবাসন সম্পত্তির আর্থিক মূল্য ৪ হাজার ৫০০ কোটি ডলার (৩ লাখ কোটি রুপি) দাঁড়াতে পারে বলে এইচডিএফসি রিয়ালটি ধারণা করছে। খবর ব্লুমবার্গ।

এইচডিএফসি রিয়ালটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিক্রম গোয়েল জানিয়েছেন, এরই মধ্যে তিনটি ব্যাংক তাদের কুঋণ পুনরুদ্ধারের জন্য তার প্রতিষ্ঠানের শরণাপন্ন হয়েছে। ব্যাংকগুলো এসব ঋণের বিপরীতে জামানত হিসেবে রাখা সম্পত্তিগুলো বিক্রি করতে চায়। তবে এসব সম্পত্তির আর্থিক মূল্য বা ওই তিনটি ব্যাংকের নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি তিনি।

আগামী বছরের মার্চের মধ্যে ভারতের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে কুঋণের ঝামেলা মিটিয়ে ফেলতে বলেছে রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই)। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশ মেনে এসব ঋণের অর্থ পুনরুদ্ধারের জন্য ব্যাংকগুলো উঠেপড়ে লেগেছে। ভারতীয় ব্যাংকিং খাতে স্ট্রেসড অ্যাসেটস রেশিও ১৭ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চে দাঁড়িয়েছে, যা ব্যাংকগুলোর মুনাফা সক্ষমতা ও মূলধন স্থিতিশীলতা নষ্ট করে দিচ্ছে।
এক সাক্ষাত্কারে গোয়েল বলেন, ‘ব্যাংকগুলো আমাদের কাছে আসছে, কারণ আমাদের নেটওয়ার্ক দেশজুড়ে বিস্তৃত। তারা বিশ্বাস করে, বন্ধকী সম্পত্তি বিক্রির মাধ্যমে কুঋণের অর্থ পুনরুদ্ধারের জন্য আমাদের উপযুক্ত ব্যবস্থা ও পদ্ধতি রয়েছে। আমাদের মতো পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের জন্য এটি ব্যবসার ভালো সুযোগ।’

এইচডিএফসি রিয়ালটির মোট রাজস্বের অর্ধেকের বেশি আসে আবাসন সম্পত্তি বিক্রির ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পরামর্শক হিসেবে কাজ করার মাধ্যমে। এছাড়া হাউজিং ডেভেলপমেন্ট ফিন্যান্স করপোরেশন লিমিটেডের শাখাটি সম্পত্তির মূল্য নির্ধারণী সেবাও দিয়ে থাকে। তবে ওই তিনটি ব্যাংকের হয়ে কাজ করার বিনিময়ে তারা কী পরিমাণ অর্থ নিচ্ছে, গোয়েল তা বলতে রাজি হননি।

এর আগেও সংকটপূর্ণ সম্পদ বিক্রিতে পরামর্শক হিসেবে কাজ করেছে এইচডিএফসি রিয়ালটি। সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়া চলতি বছরের শুরুতে সুব্রত রায়ের মালিকানাধীন সম্পত্তি বিক্রির জন্য এইচডিএফসি ও এসবিআই ক্যাপিটাল মারকেটস লিমিটেডকে নিয়োগ দেয়। গোয়েল জানান, তার প্রতিষ্ঠান বর্তমানে সুব্রত রায়ের সাহারা ইন্ডিয়া পরিবারের মালিকানাধীন ৩০টি সম্পত্তি বিক্রিতে প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছে, যার আর্থিক মূল্য প্রায় ২ হাজার ৪০০ কোটি রুপি।