৪৭ বছরেও সমন্বয়হীন দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা

স্বাধীনতার সাতচল্লিশ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো সমন্বয়হীনতায় দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা। এজন্য একমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা চালুর তাগিদ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, ইসলামী শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন হলেই সমতা আসবে। তবে ইসলামী শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন না হওয়ায় গণতান্ত্রিক রাজনীতি আর সরকারের বাজেট বরাদ্দে সদিচ্ছার অভাবকেই দুষছেন শিক্ষাবিদরা।
দেশের শিক্ষাব্যবস্থা বিশ্লেষণে দেখা যায় চারটি ভাগে বিভক্ত। সাধারণ শিক্ষা, ইংরেজি মাধ্যম, কারিগরি শিক্ষা নাস্তিক্যবাদী দর্শনে চলে আর মাদরাসা শিক্ষা চলে ভুলভাবে ধর্মের ব্যাখ্যা দিয়ে। এর মধ্যে আবার সাধারণ শিক্ষার দুটি ভাগ। বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন। আবার মাদরাসা শিক্ষার মধ্যে রয়েছে আলিয়া ও কওমি।
বিশেষজ্ঞরা বলছে, এই চার ভাগের মধ্যে কোনো সমন্বয় না থাকার কারণেই বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে শিক্ষা ব্যবস্থায়। ৯৮% অধিবাসী মুসলমান হওয়ার পরও সরকারি কর্তৃপক্ষ শিক্ষাব্যবস্থায় ইসলামীকরণ না করে হিন্দুয়ানী ও নাস্তিক্যবাদী করেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছে, সরকারের অবহেলার কারণে বিশ্বের সাথে প্রতিযোগিতা করার মতো ইসলামমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা আমাদের দেশে হচ্ছে না। যে বিভাগেই পড়ুক না কেনো সব কিছুতে একটা যোগ সূত্র থাকতে হবে। মুসলমান হিসেবে ইসলামী কিছু কমন বিষয় সবাইকে জানতে হবে। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক সদিচ্ছা আর বাজেট ঘাটতিকেই দায়ী করছে তারা।