যুক্তরাষ্ট্রে বন্যা-টর্নেডো-তুষারপাত, ৫৫ প্রদেশের ৪৪টিতে জরুরি অবস্থা জারি
ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরিতে বন্যায় মারা গেলো আরও ১৩ জন। এ নিয়ে গত কয়েকদিনে দেশটিতে ঘূর্ণিঝড় ও বন্যার যৌথ আক্রমণে প্রাণহানীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪২ জনে।
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে মিসৌরি ও নিউ মেক্সিকো রাজ্যসহ যুক্তরাষ্ট্রের ৫৫ প্রদেশের মধ্যে ৪৪টি প্রদেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
মিসৌরির গভর্নর জে নিক্সন দুর্গত মানুষদের নিরাপদস্থানে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে বলে দাবি করে জানিয়েছে, রাজ্যটির অনেক সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বন্যায় অন্তত আটজনের মৃত্যু হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাওয়ায় রাজ্যে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
তবে মৃতের তথ্যে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, বন্যায় মিসৌরি ও ইলিনয়েসে অন্তত ১৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
শনিবার রাতে ইলিনয়সে বন্যার পানিতে একটি কার ভেসে গেলে তিন ব্যক্তি ও দুই শিশুসহ ৫জনের মৃত্যু হয়।
এর আগে টেক্সাসের ডালাসে ঘূর্ণিঝড়ে অন্তত ১১ জনের প্রাণহানী ঘটে। শনিবার সন্ধ্যায় ডালাসের কাছাকাছি গারল্যান্ডের একটি মটরওয়েতে থাকা দুটি গাড়ি টর্নেডোর আঘাতে উড়ে গেছে। এতে আটজনের প্রাণহানি ঘটে। আশপাশের শহরে আরও তিনটি মরদেহ পাওয়া গেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রোববার আরকানসাসে তিনটি ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। তবে এখানে ক্ষয়ক্ষতির তেমন খবর পাওয়া যায়নি। আবহাওয়া অধিদপ্তর টেক্সাসের কিছু অংশ, ওকলাহোমা ও মিসিসিপিতে ঝড়ের সতর্কতা জারি করেছে।
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে আগামীকাল রোববারের প্রায় ১৫০০টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
এদিকে টেক্সাস আর ওকলাহোমায় তুষারপাত হতে পারে এবং ১৬ ইঞ্চি পর্যন্ত বরফ জমতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে।
ক্রিস্টমাস ডে’র দুইদিন পূর্বে শুরু হওয়া ঝড়ের আঘাতে ১৮ জন প্রাণ হারান। এর মধ্যে মিসিসিপিতে ১০ জন, টেনেসি অঙ্গরাজ্যে ৬ জন, আরাকানসাস ও আলাবামায় ১ জন করে প্রাণ হারান।