ঢাকায় মরিচের দাম ১৫ টাকা!

কাঁচামরিচ এখন ২০০ টাকা

ঢাকা: রমজানে প্রতিবছর যে পণ্যটির দাম সবচেয়ে বেশি বাড়ে তা হচ্ছে কাঁচা মরিচ। অন্যান্য বছর রজমানের শুরুতে দেড়শ থেকে দুইশ টাকা দরেও কাঁচামরিচ বিক্রি হতে দেখা গেছে।

এবার বিপরীত চিত্র দেখা গেছে কাঁচা মরিচের বাজারে। সবজির বাজারের অন্যতম উপকরণ কাঁচা মরিচ বৃহস্পতিবার সকালে মাত্র ১৫ টাকা কেজি পাইকারি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে রাজধানীর সবচেয়ে বড় কাঁচাবাজার কারওয়ান বাজারে। যা বুধবারও ছিল ৪০ টাকা কেজি।

সকালে সবজির বাজারে এসে ঠিক যেন হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলেন ক্রেতা আনোয়ার হোসেন। বলছিলেন, কাঁচা মরিচের কেজি যে ১৫ টাকা হয়, তা তিনি অনেক বছরে প্রথম দেখলেন। আনোয়ার হোসেনের মতই বিস্ময় আর কৌতুহল ছিল অন্য সকল ক্রেতার মাঝেও।

বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রচুর সরবরাহ এবং বৃষ্টির কারণে এই দর পতন। তাছাড়া বাজারে ক্রেতা স্বল্পতা এর সাথে যোগ করেছে নতুন মাত্রা।

তবে কারওয়ানে বাজার পাইকারি বাজার বলে কাঁচামরিচের কেজি ১৫ টাকা, খুচরা বাজারে ৩০-৪০ টাকা দরে পণ্যটি বিক্রি হয়েছে।

অবশ্য বাড়তি দাম রয়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় চিনি, মসুর, ডাল, পেঁয়াজ ও রসুনের।

রোজার আগে দেশে যে দামে চিনি আমদানি হয়েছে, তাতে খুচরা বাজারে এখন প্রতি কেজির দাম হওয়া উচিত সর্বোচ্চ ৫৫ টাকা। অথচ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। এ হিসাবে এক কেজি চিনিতে বাড়তি মুনাফা করা হচ্ছে ৫ থেকে ১০ টাকা।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আমদানি, বিভিন্ন পর্যায়ের খরচ ও মুনাফা ধরে কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের কাঙ্ক্ষিত দরের একটি হিসাব তৈরি করেছে। হিসাবটি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, চিনি, মসুর ডাল, ভারতীয় পেঁয়াজ ও চীনা রসুনে বাড়তি মুনাফা করছেন ব্যবসায়ীরা। তবে ছোলা বিক্রি হচ্ছে কাঙ্ক্ষিত দরের কাছাকাছি দামে।