দশ জেলায় বন্যা পরিস্থিতি গুরুতর অবনতির দিকে

ডেস্ক: ১২ নদীর ১৭ পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আসামে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি। আসামের বন্যার পানি নামার সময় আমাদের দেশে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হতে পারে। সিরাজগঞ্জ, জামালপুর ও মুন্সীগঞ্জে মারা গেছে ৫ জন।

দেশের ১০ জেলায় বন্যা পরিস্থিতি গুরুতর। এগুলো হলো কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুর, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, রাজাবাড়ী, মুন্সিগঞ্জ, শরিয়তপুর। ১২ নদীর ১৭ পয়েন্টে পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সরকারি হিসাবে এই বন্যায় ১৫ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। পানিতে তলিয়ে গেছে ফসলি জমি, রাস্তা-ঘাট। গতকাল সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় পানিতে ডুবে দুই শিশু ও সাপের কামড়ে এক কৃষক মারা গেছেন। জামালপুরে পানিতে ডুবে দু’জন মারা গেছেন। মুন্সিগঞ্জে মারা গেছে এক শিশু। দুর্গত এলাকার মানুষ নৌ ডাকাত আতঙ্কে ভুগছেন।
 বন্যা ২০১৬
সংবাদদাতাদের পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, বন্যায় বসতবাড়ি ডুবে যাওয়ায় মানুষ আশ্রয় নিয়েছে বাঁধ বা উঁচু স্থানে। পানিবন্দি এসব মানুষের দিন কাটছে অর্ধহারে অনাহারে। বন্যায় অধিকাংশ স্থানে নলকুপ ডুবে যাওয়ায় খাবার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। ছড়িয়ে পড়ছে পানি বাহিত রোগ। খাবার না থাকায় অনেকে গবাদি পশু বিক্রি করে দিচ্ছেন। চলতি বন্যায় প্রথম আক্রান্ত হয় সীমান্তবর্তী জেলাগুলো। সেসব জেলা থেকে এখন পানি নামছে, সেই সঙ্গে বেড়ে গেছে ভাঙনের তীব্রতা। অন্যদিকে মধ্যাঞ্চলে বন্যার চাপ বাড়ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বন্যা পর্যবেক্ষন থেকে দেখা গেছে গতকাল রবিবার সবচেয়ে গুরুতর অবস্থা ছিল জামালপুর, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল ও রাজবাড়ী জেলায়।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের শনিবারে দেয়া পূর্বাভাষে বলা হয়েছে, আগামী ৪৮ ঘন্টায় পদ্মার নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। যার ফলে, পদ্মা নদী সংলগ্ন রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ ও শরিয়তপুরে বন্যা পরিস্থিতির সামান্য অবনতি হতে পারে। ঢাকার আশেপাশের বুড়িগঙ্গা, বালু, শীতলক্ষ্যা প্রভৃতি নদ-নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে যা আগামী ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।