সেনা বাহিনীর ক্ষমতা দখলের চেষ্টা ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ : এরদোগান

ডেস্ক: তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় ফেরত এসেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রেসিপ তাইয়েপ এরদোগান। সামরিক অভ্যুত্থানের খবর পাওয়ার পর তিনি রাজধানীতে ফিরে টেলিভিশনের এক লাইভ বক্তব্যে দেশটিতে চলা সেনা অভ্যুত্থানকে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এ সময় তাকে ঘিরে ছিল তার সমর্থকেরা।

এদিকে গত এক রাতে আঙ্কারায় অভ্যুত্থানকারী সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ৪২ জন মারা গেছেন। এদের অধিকাংশই দেশটির বেসামরিক নাগরিক বলে জানা যায়। তবে অসমর্থিত একটি সূত্র থেকে জানা যায়, ১৭ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।
এদিকে বিবিসি জানায়, প্রাথমিক অবস্থায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী সেনা অভ্যুত্থানের বিষয়টি অস্বীকার করে। তিনি বলেন, কিছু বিশৃঙ্খল সেনা সদস্য এই ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু পরবর্তীতে দেখা যায় দেশটির গুরুত্বপূর্ণ সকল স্থাপনায় অবস্থান নিয়েছে তারা। এর থেকে ধারণা করা যায়, পরিকল্পিতভাবেই দেশটির নিয়ন্ত্রণে আসতে চাইছে এই অভ্যুত্থানকারীরা।
এদিকে তুরস্ক সেনাবাহিনীর এক অংশের এই অভ্যুত্থানকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার সঙ্গে তুলনা করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট। অভ্যুত্থানকারীরা দেশটির সরকারের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে এমন দাবিকে প্রত্যাখ্যান করে তিনি জানান, এখনও তুরস্কের আগের সরকারই বলবৎ রয়েছে।
এদিকে তুরস্কের এই সামরিক অভ্যুত্থানের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা দেশটির সাধারণ মানুষকে গণতান্ত্রিক সরকারের পাশে থাকার আহ্বান জানান। এ সময় তিনি জানান, তুরস্কের গণতান্ত্রিক সরকারের পাশে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র।
এরদোগানের সমর্থকেরা এরই মধ্যে রাস্তায় নেমে গেছে তার সমর্থনে। তাদের বেশ কয়েকজনকে সামরিক বাহিনীর সামনে বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে। অন্যদিকে দেশটির সামরিক বাহিনীর সদর দফতরে জিম্মি রয়েছেন আরো বেশ কিছু সেনা কর্মকর্তারা। ধারণা করা হচ্ছে দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল হুলুসি আকারও সেখানে জিম্মি অবস্থায় আছেন।
দেশটির সেনাবাহিনীর সরকার সমর্থিত অংশটি বর্তমানে দেশটির কামাল আতাতুর্ক বিমানবন্দরে অবস্থান নিয়েছেন। বিদ্রোহী সেনাদের কেউ হেলিকপ্টার বা বিমান উড্ডয়নের চেষ্টা করলে তা গুলি করে ভূপাতিত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে তাদের। বর্তমানে দেশটির সকল বিমানবন্দরে সাধারণ যাত্রীসেবা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এখনও দেশটির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে গোলাগুলি চলছে। বিবিসি।