পবিত্র কাবাঘর নিয়ে ফেসবুকে ব্যঙ্গচিত্র, ফাঁসির দাবিতে উত্তাল নাসিরনগর

৫০ কোটি টাকার নকল পণ্যসহ আটক ৮

বি-বাড়িয়া: জেলার নাসিরনগরে ফেসবুকে রসরাজ আইডি থেকে এক উগ্র সাম্প্রদায়িক যুবক ছবিতে পবিত্র কাবাঘরের উপর শিব লিঙ্গের ছবি স্থাপন করে ফেসবুকে ব্যঙ্গচিত্র প্রচার করে। এতে স্থানীয় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ফাঁসির দাবিতে ব্যাপক বিক্ষোভ করেছে। পুলিশ অপরাধী রসরাজ নামধারী যুবককে আটক করেছে। এ ঘটনার পর নাসিরনগরে বেশ উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঢাকা থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের পূজা উদযাপন পরিষদের একটি প্রতিনিধিদল ঘটনাস্থলে রওনা দিয়েছে। এ প্রতিনিধিদলটি সেখানকার পরিস্থিতি তদারকি ও রসরাজের অনুকুলে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

শনিবার ঘটে যাওয়া এ ঘটনার প্রতিবাদে আজ রোববার সকালে এলাকাবাসী রসরাজের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়। এক পর্যায়ে বিক্ষুদ্ধ জনতার সাথে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়। বিক্ষোভে অংশ নেয়া বিভিন্ন সংগঠনসহ সাধারণ মানুষের একটাই দাবি উগ্র সাম্প্রদায়িক রসরাজকে দৃষ্টান্তমূল শাস্তিসহ ফাসিঁতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড দিতে হবে।

নাসিরনগর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের হরিণবেড় গ্রামের রসরাজ দাস(৩০) বাবার নাম জগন্নাথ দাস। রসরাজ পবিত্র কাবাশরীফ ব্যঙ্গ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দিলে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। ওই দিন সকাল ১১টায় ফেসবুকে রসরাজ দাসের টাইম লাইনে এধরনের ব্যঙ্গচিত্র এলাকার মুসলিম সম্প্রদায়ের কিছু লোক দেখতে পেলে ফেসবুকে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া শুরু হয়। এলাকার লোকজন বিষয়টি জানতে পেরে রসরাজকে ধরে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসে। পরে পুলিশ এসে রজরাজ দাসকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান পিপিএম স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, পুলিশ তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে। এলাকার কেউ বাদি না হলে তার বিরুদ্ধে নাসিরনগর থানায় পুলিশ বাদি হয়ে মামলা দায়ের করবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।

শনিবার বিকাল চারটা থেকে সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত টায়ারে আগুন দিয়ে সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে স্থানীয় জনতা। পরে পুলিশ এসে তাদের সরিয়ে দিয়ে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।

এদিকে, ফেসবুকে পবিত্র কাবা শরীফ নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র করার ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে কর্মসূচি দিয়েছে কয়েকটি সংগঠন।

এ ব্যপারে হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান দেয়ার আতিকুল ইসলাম আঁখির সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। এবং এই ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয় প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ করছি।

এস.আই. আশরাফুল বলেন, আমরা স্থানীয় জনগণের ফোন পেয়ে এলাকায় গিয়ে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। এখন এলাকায় বিক্ষোভ চলছে। তাবে আইনশৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।