স্বীকৃতি মিললো কওমি মাদ্রাসা সনদের

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে কওমি মাদরাসার নেতৃস্থানীয়দের বৈঠকের দু’দিন পর কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিসের সনদকে মাস্টার্স (ইসলামিক স্টাডিজ এবং আরবি) এর সমমান দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ‘কওমি মাদরাসার স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য বজায় রেখে ও দারুল উলুম দেওবন্দের মূলনীতিসমূহকে ভিত্তি ধরে কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিসের সনদকে মাস্টার্স (ইসলামিক স্টাডিজ এবং আরবি) এর সমমান প্রদান করা হলো।’

জানানো হয়েছে, দাওরায়ে হাদিসের সনদকে মাস্টার্স (ইসলামিক স্টাডিজ এবং আরবি) এর সমমান দিতে কওমি মাদরাসা বোর্ডসমূহের পক্ষ থেকে গঠিত সনদের মান বাস্তবায়ন কমিটির উপর আস্থা রেখে একটি কমিটিও গঠন করে দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ (পদাধিকার বলে) এর সভাপতি আহমদ শফীকে চেয়ারম্যান করে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটির কো-চেয়ারম্যান হয়েছেন বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ এর সিনিয়র সহ-সভাপতি। এটিও পদাধিকার বলে।

কমিটির কাজ কি হবে তা নিয়ে এতে বলা হয়েছে, এ কমিটি সনদ বিষয়ক যাবতীয় কার্যক্রমের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী বলে বিবেচিত হবে।

এই কমিটির নিবন্ধিত মাদরাসাগুলো দাওরায়ে হাদিসের সনদ মাস্টার্স (ইসলামিক স্টাডিজ এবং আরবি) এর সমমান বলে বিবেচিত হবে।

এ কমিটির অধীনে ও তত্ত্বাবধানে দাওরায়ে হাদিসের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। দাওরায়ে হাদিসের সিলেবাস প্রণয়ন, পরীক্ষা পদ্ধতি, পরীক্ষার সময় নির্ধারণ, অভিন্ন প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, উত্তরপত্র মূল্যায়ন, ফলাফল ও সনদ তৈরিসহ আনুসঙ্গিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এক বা একাধিক উপ-কমিটি গঠন করতে পারবে। কমিটি শিক্ষা মন্ত্রণালয় উক্ত বিষয়সমূহ অবহিত করবে।

‘এ কমিটি সকল ধরনের দলীয় রাজনীতির ঊর্ধ্বে থাকবে।’ এমন একটি কথাও এই প্রজ্ঞাপনে রয়েছে।

কমিটিতে বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ (বেফাক) এর ৫ জন সদস্য (পদাাধিকারবলে মহাসচিবসহ অথবা বোর্ড কর্তৃক মনোনীত) রাখা হয়েছে।

গোপালগঞ্জের বেফাকুল মাদারিসিল কওমিয়া গওহরডাঙ্গা, চট্টগ্রামের আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিসিল কওমিয়া, সিলেটের আযাদ দ্বীনি এদারা বোর্ড, উত্তরবঙ্গের তানজিমুল মাদারিসিল কওমিয়া এবং জাতীয় দ্বীনি মাদরাসা বোর্ড, বাংলাদেশের ২ জন করে সদস্য থাকবেন কমিটিতে।

এছাড়া চেয়ারম্যান ইচ্ছা করলে আরও সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবেন, তবে এ সংখ্যা ১৫ জনের বেশি হবে না।

গত ১১ এপ্রিল শফীর নেতৃত্বে কওমির নেতারা গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। প্রধানমন্ত্রী সে সময় এই স্বীকৃতি দানের ঘোষণা দেন।