রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে জোরপূর্বক পুশইন করছে ভারত

ভারতের আশ্রয়ে থাকা মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকদের দেশটির সীমান্ত বাহিনী বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) বাংলাদেশের দিকে জোরপূর্বক ঠেলে দিচ্ছে। বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) বলছে, তারা সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে আসা কয়েকজন রোহিঙ্গার সঙ্গে আলোচনা করে এ তথ্য পেয়েছেন। বাংলাদেশে আসার ক্ষেত্রে বিএসএফ তাদের উপজর জোর করছে।

সর্বশেষ গত বুধবার ১৯ রোহিঙ্গা সদস্যকে সাতক্ষীরার পদ্মশাঁকরা সীমান্ত এলাকা থেকে আটক করে বিজিবি। এর আগে ৩ অক্টোবর সাত রোহিঙ্গা সদস্যকে কলারোয়ার হিজলদি সীমান্তের একটি বাজার থেকে আটক করা হয়। গত ২২ সেপ্টেম্বর প্রথম সাতক্ষীরার কলারোয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে ১৩ জন রোহিঙ্গাকে আটক করেছিল পুলিশ। তিন দফায় মোট ৩৯ জনকে আটক করা হয়।

বিজিবি পদ্মশাঁকরা বিওপির সুবেদার মোশাররফ হোসেন বৃহস্পতিবার বলেন, ‘যাদের আটক করা হয়েছে তাদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। এসব রোহিঙ্গা সদস্য জানিয়েছেন, তারা কয়েক বছর যাবৎ ভারতের বিভিন্ন স্থানে বসবাস করছিলেন। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গাদের আশ্রয়, খাদ্য, বস্ত্র ও চিকিৎসা সুবিধা দিচ্ছে জানতে পেরে ভারতে বসবাসরত রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আসতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। বিএসএফ এই সুযোগে তাদেরকে বাংলাদেশ ভূখন্ডে পুশইন করে দিচ্ছে।’

‘সর্বশেষ আটক ১৯ রোহিঙ্গা বিজিবিকে জানিয়েছেন, ২০১২ ও ২০১৪ সালে তারা ভারতে যান। প্রথমে কিছুদিন তারা দিল্লিতে ছিলেন। পরে তারা উত্তরপ্রদেশের আলীপুরে চলে যান। সেখানেই মূলত তারা অবৈধভাবে বসবাস করে আসছিলেন। তখন তাদের সেখান থেকে নিয়ে এসে সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে ঠেলে দেয়া হয়েছে’, যোগ করেন সুবেদার মোশাররফ হোসেন।

সীমান্তের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, আরো বহু সংখ্যক রোহিঙ্গা সদস্য সাতক্ষীরা সীমান্ত অতিক্রম করার অপেক্ষায় রয়েছেন। তাদেরকেও সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশে পুশইন করতে সচেষ্ট রয়েছে বিএসএফ।