বেতন-ভাতা বেড়েছে, কমেনি ঘুষ-দুর্নীতি!

ঢাকা: ২০১৫ সালের ১ জুলাই থেকে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য অষ্টম পে স্কেল কার্যকর করা হয়েছে। নতুন এ বেতন কাঠামোয় ২০টি গ্রেডের মধ্যে প্রথম গ্রেডের সর্বোচ্চ মূল বেতন ৭৮ হাজার টাকা, সর্বনিম্ন গ্রেডের মূল বেতন ৮ হাজার ২৫০। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বেড়েছে প্রায় ৯১ থেকে ১০১ ভাগ পর্যন্ত। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বেতন-ভাতায় মোট ৫১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল, আর ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরের বাজেটে বেতন-ভাতায় ৫৩ হাজার ৮৩৩ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

জাতীয় বাজেটের বড় একটি অংশ খরচ হয় সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতা খাতে এবং তা বছর বছর বাড়ছে। জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের সঙ্গে সমন্বয় ও বেতন কম বলে দুর্নীতি হচ্ছে, এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার ২০১৫ সালে বেতন-ভাতা বৃদ্ধির যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু ২০১৫ সাল থেকে এখন ২০১৭ সাল, এই দুই বছরে সরকারি সেবা ও প্রশাসনিক কর্মকা-ে দুর্নীতি কতোটুকু কমেছে? এই প্রশ্নের উত্তর আগের মতো এখনও মেলেনি। প্রায় তিন বছর পর বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে জনগণের সেই প্রশ্নের অবতারণা করেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারের আমলে বেতন-ভাতা বৃদ্ধির বিষয়টি উল্লেখ করে দুর্নীতি বন্ধের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘বেতন-ভাতা বাড়ানো হয়েছে, দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে।’ বর্তমানে সরকারি চাকরিজীবী, এমপিওভুক্ত শিক্ষক, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ ২১ লাখ পেশাজীবী রয়েছেন, যারা নিয়মিত সরকারি কোষাগার থেকে বর্ধিত হারে বেতন-ভাতা পাচ্ছেন। কিন্তু দুর্নীতি সেই আগের মাত্রায় রয়েছে বলে বাস্তবে ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন সংবাদে জানা যাচ্ছে।