বঙ্গবন্ধুর ‘জাল যার জলা তার’ ঘোষণা বাস্তবায়নের উদ্যোগ

ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ এমপি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘জাল যার জলা তার’ ঘোষণা বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্টদের আন্তরিক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রকৃত জেলেরা যেন জলদস্যুদের ষড়যন্ত্রের শিকার না হয়, সেদিকেও তিনি সংশ্লিষ্টদের নজর দিতে বলেছেন।

আজ দুপুরে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ৪০তম জলমহাল ইজারা বন্দোবস্ত কমিটির সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বঙ্গবন্ধুর ঘোষিত ‘জাল যার জলা তার’ সরকারি নীতিমালা বাস্তবায়নে প্রকৃত মৎস্যজীবীদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে তার মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি জেলা জলমহাল কমিটিতে সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসন থেকে উপদেষ্টাদের অবহিত করার জন্য পত্র প্রেরণেরও নির্দেশ দেন।

শরীফ বলেন, বদ্ধ জলাশয় ব্যতীত জলমহাল ইজারা বন্দোবস্ত দেওয়া যাবে না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, স্লুইস গেইটের দোহাই দিয়ে চলমান নদীকে বদ্ধ জলাশয় বানানোর কোনো সুযোগ নেই।
মন্ত্রী বলেন, মৎস্যজীবীদের কাছ থেকে তিনি প্রায়ই শুনতে পান, জলদস্যুরা জলদাসদের উপর চাপ সৃষ্টি করে। ওইসব জলদস্যুদের কালো হাত থেকে মৎস্যজীবীদের রক্ষা করে তাদের স্বার্থ রক্ষা করার নির্দেশ তিনি দেন।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের যৌক্তিকভাবে উপস্থাপিত মতামতকে গুরুত্বের সাথে দেখতে হবে উল্লেখ করে তিনি মৎস্যজীবীদের বলেন, নচেৎ প্রশাসনিক কাজে জনস্বার্থের ব্যাঘাত দেখা দিতে পারে।
দুষ্টু লোকেরা যাতে জনস্বার্থ ব্যাঘাত ঘটাতে না পারে সেদিকে প্রশাসনকে তৎপর থাকার পরামর্শ দিয়ে ভূমিমন্ত্রী বলেন, কেউ নীতিমালা বহির্ভূত সিদ্ধান্ত চাপাতে চাইলে প্রকৃত জেলেদের স্বার্থের দিকটিকে আগে অধিকতর গুরুত্ব দেয়ার জন্য মন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।

জলমহাল ইজারা বন্দোবস্ত উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সভার সিদ্ধান্ত থেকে ১৬টি জলমহাল থেকে ১ কোটি টাকার অধিক রাজস্ব আয় হবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ধারণা করছে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে ভূমিপ্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, ভূমির সিনিয়র সচিব মেছবাহ উল আলম, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) আবুয়াল হোসেন, অতিরিক্ত সচিব সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, যুগ্মসচিব মজিবুর রহমান ও দেলোয়ার হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব)গণ উপস্থিত ছিলেন।-বাসস