রাসায়নিক অস্ত্রনিরোধী বিশ্ব সংস্থার নেতৃত্বে বাংলাদেশ

রাসায়নিক অস্ত্রনিরোধী আন্তর্জাতিক সংস্থা অর্গানাইজেশন ফর দ্য প্রোহিবিশন অফ কেমিক্যাল উইপনসের (ওপিসিডব্লিউ) নির্বাহী পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ এ পদে এবারই প্রথম নির্বাচিত হলো বলে বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, “কূটনীতির ক্ষেত্রে এটি একটি ‘বড় অর্জন’।”

রাসায়নিক অস্ত্রনিরোধ সনদ কার্যকর করার লক্ষ্য নিয়ে ১৯৯৭ সালে যাত্রা শুরু করে ওপিসিডব্লিউ। নেদারল্যান্ডসের হেগভিত্তিক সংস্থাটিতে বর্তমানে ১৮৯টি দেশ সদস্য হিসেবে রয়েছে।

ওপিসিডব্লিউ জাতিসংঘের সংস্থা না হলেও নীতিগত বিষয়সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার সম্পর্ক রয়েছে এ দুই প্রতিষ্ঠানের। কোনো দেশে রাসায়নিক অস্ত্রের বিষযে পরিদর্শন বা পর্যবেক্ষণের প্রয়োজন হলে জাতিসংঘ ওপিসিডব্লিউর সহায়তা নেয়। এ বিষয়ে ২০০০ সালে একটি চুক্তিও করে দুই সংস্থা।

রাসায়নিক অস্ত্রমুক্ত বিশ্ব গড়ার চেষ্টার স্বীকৃতি হিসাবে ২০১৩ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার পায়।

নোবেল কমিটির বিবৃতি বলা হয়, প্রথম বিশ্বযুদ্ধর সময় একটি উল্লেখযোগ্য মাত্রায় রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করা হয়। ১৯২৫ সালে জেনেভা সনদের মাধ্যমে এ ধরনের অস্ত্র ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু তারপরও রাসায়নিক অস্ত্র উৎপাদন ও মজুদ করার সুযোগ থেকেই যায়।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হিটলার এই রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেই ব্যাপক গণহত্যা চালান। ১৯৯২-৯৩ সালে আরেক সনদের মাধ্যমে রাসায়নিক অস্ত্রের উৎপাদন ও মজুদও নিষিদ্ধ করা হয়, যা কার্যকর হয় ১৯৯৭ সালে। তার পর থেকেই ওপিসিডব্লিউ তদন্ত চালিয়ে এবং মজুদ ধ্বংসের মাধ্যমে রাসায়নিক অস্ত্র নিরোধে ভূমিকা রেখে আসছে।