বাংলাদেশ-ভারত নৌ যাত্রী পরিবহনের উদ্যোগ

ডেস্ক: বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে যাত্রীবাহী নৌ-চলাচলের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন নীতি-নির্ধারকরা। দুই দেশ একমত হলে এক্ষেত্রে ঋণদাতা সংস্থার অর্থ সহায়তার সুযোগ আছে বলে মনে করে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত হর্ষবর্ধণ শ্রীংলা। পাশাপাশি দু’দেশের ট্রানজিট ও ট্রানশিপমেন্টের আওতায় নৌপথে যাত্রী পরিবহনের পরিকল্পনা রয়েছে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।

সড়ক, রেল ও আকাশপথের পাশাপাশি যাত্রী পরিবহনে আন্তঃদেশীয় নৌপথের বিষয়টি সামনে আসে শিলংয়ের নদী উৎসবে। ভারত ছাড়াও পার্শ্ববর্তী ক’টি দেশের সঙ্গে নৌযোগাযোগ চালু করে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হতে পারে বলে মত আলোচকদের। আর এই মধ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে নৌপথে প্রমোদতরী চলাচলে উদ্যোগ নিয়েছে আসামের পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী মনে করিয়ে দেয়, বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে এক সময়ের নৌযোগাযোগের ঐতিহ্যের কথা। দুদেশ একমত হলে পারস্পরিক ও ঋণদাতা সংস্থার অর্থ সহায়তার সুযোগ আছে বলে মনে করে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার।

মুখ্যমন্ত্রী মেঘালয় মুকুল সাংমা মনে করে যে, পশ্চিমবঙ্গ ও মেঘালয়ে ইন্দো-বাংলাদেশ সীমান্ত একশো কিলোমিটারের বেশি দীর্ঘ। মেঘালয় সীমান্তের পশ্চিম অংশ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ব্রহ্মপুত্র। সড়ক ও রেলপথের সুবিধা নিয়ে এখানে সহজেই নৌপথ চালু হতে পারে। এক্ষেত্রে আমাদের জন্য বেশ কিছু সম্ভাবনা রয়েছে। দু’পক্ষের সুবিধার কথা ভেবেই এ সম্ভাবনা আমরা লাগাতে পারি।

বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধণ শ্রীংলা জানায়, ব্রহ্মপুত্রের কথা ভেবেই নৌপথে বিনিয়োগ করছে ভারত। বিশ্বব্যাংকের তহবিলের সহায়তায় বাংলাদেশও বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে। এখাতে দুদেশের জন্যই বড় ধরনের সম্ভাবনা রয়েছে। ট্রানজিট ও ট্রানশিপমেন্টের আওতায় নৌপথে যাত্রী পরিবহনের পরিকল্পনা দু’পক্ষেরই রয়েছে বলে জানান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার। এতে পর্যটনের পরিধি আরো বড় হতে পারে বলে মত বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী মেননের।

হিমালয় অববাহিকার দেশগুলোর মধ্যে যাত্রী পরিবহনে সমন্বিত নৌচলাচলে অবারিত হবে বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্ভবনার দ্বার এবং এতে অঞ্চলের মানুষের ইতিহাস, ঐতিহ্যও সংস্কৃতি মেলবন্ধন আরো জোরালো হবে বলে দাবি করছে সংশ্লিষ্টরা।