কেনিয়ার মোম্বাসায় বাংলা-পেসা মুদ্রা জনপ্রিয় কেন?

ডেস্ক: কেনিয়ার উপকূলীয় এলাকা মোম্বাসা কাউন্টির কমিশনার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাংলা-পেসা নামে বিকল্প মুদ্রার ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।

কমিশনার এভানস্ আচোকি বলেছে বাংলা-পেসা কোনো সরকারি মুদ্রা নয়।

”এটা নগদে কেনাবেচার বদলে এক পণ্য বিনিময় বাণিজ্য ব্যবস্থায় ব্যবহার করা হচ্ছে। একবিংশ শতাব্দীতে এই ব্যবস্থা মেনে নেওয়া যাবে না। কয়েক শতাব্দী আগে যা হতো, তাকে এই আধুনিক যুগে তো চালানো যায় না, বার্তা সংস্থাকে বলেছেন মিঃ আচোকি।

কিন্তু এই বাংলা-পেসার উদ্ভব কোথা থেকে?

মোম্বাসা কাউন্টির সবচেয়ে বড় বস্তির নাম বাংলাদেশ -যদিও বাংলাদেশের সঙ্গে এর কোনো যোগসূত্র নেই। আর এই বস্তিতে বাণিজ্যিক লেনদেনের জন্য বিকল্প যে ব্যবস্থা চালু রয়েছে তার নাম বাংলা-পেসা।

গ্রাসরুটস্ ইকোনমিক্স নামে এক ওয়েবসাইটের খবর অনুযায়ী ওই বস্তির বাসিন্দারা সরকারি মুদ্রা ব্যবস্থার বাইরে বাংলা-পেসা নামে একটা বিকল্প মুদ্রা ব্যবস্থা ব্যবহার করে থাকে, যেটা আদতে কোনো মুদ্রা নয়। এই বাংলা-পেসা গচ্ছিত রেখে তারা পণ্য কেনা বেচা করেন।

মুদ্রার মূল্যমান যেহেতু কমা-বাড়ার ঝুঁকিতে থাকে তাই এই বস্তিবাসীরা জাতীয় মুদ্রা ব্যবহার করার পাশাপাশি বাংলা-পেসা ব্যবহার করেও নিজেদের মধ্যে বাণিজ্যিক লেনদেন করেন।

২০১৩ সালে এই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল। এটি ছিল ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ব্যবসা বাণিজ্যে সাহায্য করার জন্য মুনাফা-বিহীন একটি উদ্যোগ। একটা নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের মানুষকে অর্থনৈতিকভাবে সাহায্য করতে চালু হয়েছিল এই প্রকল্প।

সেসময় অর্থনৈতিক মন্দার বাজারে মোম্বাসার জনবহুল এই কলোনির দরিদ্র জনগোষ্ঠিকে আর্থিক লেনদেনে সাহায্য করতে তৈরি হয়েছিল এই বিকল্প মুদ্রা ব্যবস্থা।

বস্তির বাসিন্দারা জার্মানিতে ছাপা কাগজের এই মুদ্রা ব্যবহার করে আসছে স্কুলের বেতন, অন্তেষ্ট্যিক্রিয়া, গির্জার চাঁদা ইত্যাদি পারিবারিক ব্যয় মেটানোর কাজেও।

এই ছাপা কাগজের ক্রেডিট নোট বিভিন্ন মূল্যমানের রয়েছে – যেমন ৫, ১০, ২০, ৪০ এবং ৫০ বাংলা-পেসা মানের। -বিবিসি