ইসলামে কোন ধরণের নববর্ষ তথা পহেলা বৈশাখ পালন জায়েয নাই : ওলামা লীগ
![](https://i0.wp.com/newsnine24.com/wp-content/uploads/2016/07/ওলামা-লীগ-Olama-league.jpg?fit=600%2C312&ssl=1)
ঢাকা: ইসলামে কোন ধরণের নববর্ষ তথা পহেলা বৈশাখ পালন জায়েয নাই। নববর্ষ পালনের উৎসব বিধর্মীদের থেকে। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক বিশাল মানববন্ধনে এ কথা বলেন বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের নেতৃবৃন্দ।
মানববন্ধনে ওলামা লীগের প্রেস রিলিজে বলা হয়, ইউনেস্কো কর্তৃক ঘোষিত মঙ্গল শোভাযাত্রার ব্যাপক প্রচারণা দিয়ে বর্তমান সরকারকে হিন্দুত্ববাদী বলে প্রচার করার ষড়যন্ত্র চলছে। পাশাপাশি পহেলা বৈশাখ পালন করলে মুসলমানিত্ব যায় না- ইনুর এ ফতওয়া পবিত্র দ্বীন ইসলাম ধর্ম ও মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে। কারণ পবিত্র দ্বীন ইসলামে বাংলা, ইংরেজী, আরবী সব নববর্ষ পালনই হারাম। ধর্মপ্রাণদেরকে সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ করার- স্বাধীনতা পরবর্তী জাসদীয় ষড়যন্ত্র নতুন করে বাস্তবায়ন হচ্ছে। পাশাপাশি পহেলা বৈশাখ এর নামে বোনাস না দিয়ে পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানার্থে বোনাস দিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানের ভোট নৌকায় উঠাতে হবে। উল্লেখ্য মাতৃভাষা বাংলা মুসলমান উনাদের পবিত্র ঈমান উনার অঙ্গ। কিন্তু মাতৃভাষা দিবসে ইউনেস্কোর ভিডিওতে বাংলাভাষাকে জায়গা দেয়া হয়নি। অথচ ইউনেস্কো হিন্দুদের আচার অনুষ্ঠান মঙ্গল শোভাযাত্রাকে বাংলাদেশের সংস্কৃতি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
বক্তারা বলেন, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছে, ‘পহেলা বৈশাখ ও চৈত্র সংক্রান্তির সাথে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে কোন বিরোধ নেই। এগুলো পালনে মুসলমানিত্ব যায় না।’ বক্তারা বলেন, ইনু বামপন্থী। এদেশের গণতন্ত্র নস্যাৎ করে সমাজতন্ত্র কায়েমই তার মূল উদ্দেশ্য।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কাঁধে ভর করে সে তার ঘৃণ্য উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতে চায়। গণতান্ত্রিক সরকারের মন্ত্রী হয়েও সে সমাজতন্ত্র বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পত্রিকায় কলাম-আর্টিকেল লিখে যাচ্ছে। তার সমাজতন্ত্রে ধর্ম হলো আফিমের মতো। তার মত ধর্মজ্ঞানহীন শক্তি সম্মানিত ইসলামী বিষয়ে ফতোয়া দেয় কিভাবে?
সে তো জানেনা যে, পবিত্র দ্বীন ইসলামে কোন ধরণের নববর্ষ তথা পহেলা বৈশাখ পালন জায়েয নাই। নববর্ষ পালনের উৎসব বিধর্মীদের থেকে। নুরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হিজরত মুবারক উনা পর পবিত্র মদীনা শরীফ গিয়ে ঐ এলাকাবাসীর দুটি উৎসব বন্ধ করেছিলেন। একটি হচ্ছে, বছরের প্রথম দিন উদযাপন বা নওরোজ; অন্যটির নাম ছিলো ‘মিহিরজান’। এ উৎসব দুটির বিপরীতে চালু হয় মুসলমানদের দুই ঈদ। (তাফসিরসমূহ দেখতে পারেন) মূলত: নওরোজ বা বছরের প্রথম দিন পালন করার রীতি পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে নেই, এটা পার্সী মজুসীদের (অগ্নিউপাসক) অুনকরণ।
এ সম্পর্কে পবিত্র হাদীস শরীফ উনার মধ্যে এসেছে: “যে ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়ের সাথে সাদৃশ্য গ্রহণ করে সে তাদের দলভুক্ত।” তাই যে কোন নওরোজ সেটা থার্টি ফাস্ট নাইট হোক, পহেলা নববর্ষ হোক কিংবা পহেলা মুহররম হোক, বিজাতীয় রীতি হিসেবে প্রতেকটি পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ সম্পর্কে ইমাম ফখরুদ্দীন উসমান বিন আলী আয যাইলায়ী বলেন, “নওরোজ ও মেলার নামে কিছু দেয়া নাজায়েয। এ দুই দিনের নামে প্রদত্ত হাদিয়া হারাম; বরং কুফর”। (গ্রন্থ তাবইনুল হাকায়েক : ৬/২২৮)
ইমাম হাফস কবীর রহমতুল্লাহি বলেন, “নওরোজ বা বছরের প্রথম দিন উপলক্ষে যদি কেউ একটা ডিমও দান করে, তবে তার ৫০ বৎসরের আমল থাকলে তা বরবাদ হয়ে যাবে”
তাই পহেলা বৈশাখ পালন করলে মুসলমানিত্ব যায়না বামপন্থী ইনুর এ বক্তব্য মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত। অপরদিকে ইনু বলেছে, চৈত্র সংক্রান্তি পালন করলেও মুসলমানিত্ব যায়না। তাহলে মুসলমানদের পূজা করিয়ে হিন্দু বানাতে চায়। অথচ পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে “আমি যমীনে তাশরীফ মুবারক গ্রহণ করেছি মূর্তি এবং বাদ্যযন্ত্র ধ্বংস করার জন্য।”
বক্তারা বলেন, আসন্ন পহেলা বৈশাখে সারাদেশে সরকারিভাবে মঙ্গল (অ-মঙ্গল) শোভাযাত্রার আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। তার এ সিদ্ধান্ত মুসলমানদেরকে হিন্দুদের উৎসব পালনে বাধ্য করার শামিল। অবিলম্বে এটা বাতিল করতে হবে। কারণ ‘পহেলা বৈশাখ’ এবং ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ বাঙ্গালী বা মুসলমানদের সংস্কৃতি নয় বরং হিন্দুদের ধর্মীয় সংস্কৃতি। এগুলো মুসলমানদের জন্য পালন করা সম্পূর্ণ হারাম ও ঈমানহারা বেঈমান হওয়ার কারণ।
বক্তারা বলেন, ১৯৮৯ সাল থেকে চারুকলা ইন্সটিটিউট মঙ্গল শোভাযাত্রা আয়োজন করলেও এর প্রচলক ছিল তরুণ ঘোষ নামের এক হিন্দু। সে পশ্চিমবঙ্গের বরোদায় আর্ট ইনিষ্টিটিউটের ছাত্র ছিল। তার নিজস্ব হিন্দু ধর্মীয় সংস্কৃতিকে সে চারুকলা ইনিষ্টিটিউটের কাধে ভর করে মুসলিম ছাত্র-ছাত্রীদের উপর চাপিয়ে দেয়। আর নাস্তিকপন্থীরা সেটাকে লুফে নেয়। সেটাকে তারা এখন বাঙ্গালী সংস্কৃতি বলে চালিয়ে দিতে চায়। অথচ এই মঙ্গল শোভাযাত্রা হিন্দুদের ধর্মীয় সংস্কৃতি।
বক্তারা বলেন, মঙ্গল শোভাযাত্রা, মঙ্গলকাব্য সবগুলোই হিন্দুদের ধর্মীয় অনুসঙ্গ। হিন্দুদের মতে, শ্রী কৃষ্ণের জন্ম হয়েছে অশুভ শক্তিকে বিনাশ করতে। তাই হিন্দুরা অশুভ তাড়াতে শ্রী কৃষ্ণের জন্মদিনে তথা জন্মাষ্টমীতে প্রতিবছর সারাদেশে মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করে। অন্যদিকে মঙ্গলকাব্য হলো হিন্দুদের দেবদেবীর গুণকীর্তণ। তাই প্রতিটি মঙ্গলকাব্যে একেকজন দেবতার গুণকীর্তণ করা হয়েছে। এরা লৌকিক দেবতার সঙ্গে পৌরাণিক দেবতার সংমিশ্রণে সৃষ্ট বাঙালি হিন্দুদের নিজস্ব দেবতা।
বক্তারা বলেন, হিন্দুদের ধর্মীয় সংস্কৃতি বলেই গতবছর দিনাজপুরের বিরামপুর বারোয়ারী কেন্দ্রীয় হরি মন্দির কমিটি, লক্ষ্মীপুরে জাতীয় হিন্দু মহাজোট, নারায়ণগঞ্জে হিন্দুদের তীর্থস্থান লাঙ্গলবন্দে মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দ মানব সেবা সংঘসহ সারাদেশে হিন্দুরা শ্রী কৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করে। হিন্দুদের তীর্থস্থান লাঙ্গলবন্দে সর্ববৃহৎ শোভাযাত্রাটি তিলকযাত্রী নিবাস মন্দির থেকে শুরু হয়ে প্রেমতলা দিগ্বীজয়ী বক্ষ্মচারীর আশ্রম, লাঙ্গলবন্দ শ্বশান ঘাট মন্দির, রাজঘাট দূর্গা মন্দির ও অন্নপূর্ণা মন্দির হয়ে আবার তিলকযাত্রী নিবাস মন্দিরে এসে শেষ হয়।
বক্তারা বলেন, পহেলা বৈশাখ, চৈত্র সংক্রান্তির মেলা, মঙ্গল শোভাযাত্রা কিংবা সূর্যবন্দনা, ‘মঙ্গলপ্রদীপ, মঙ্গল কাব্য প্রতিটি অনুষ্ঠানিকতা পুরোপুরি হিন্দুদের বিশ্বাসের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাহলে কি করে এই সকল অনুষ্ঠান অসাম্প্রদায়িক হয়? হিন্দুদের সংস্কৃতি কিভাবে বাঙালী সংস্কৃতি হয়? এই সাম্প্রদায়িক সংস্কৃতিকে ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকাভূক্তি করতে সংস্কৃতি মন্ত্রী কিভাবে আবেদন করে? সংখ্যালঘু হিন্দুদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান ৯৮ ভাগ মুসলমানের উপর চাপিয়ে দেয়ার উদ্দেশ্য কী? সংস্কৃতি মন্ত্রী কি হিন্দুদের সংস্কুতিকে লালন করে সরকারের অসাম্প্রদায়িক চেতনায় আঘাত হানতে চান? জামাত-জোট, হেফাজতের হাতে ইস্যু তুলে দিয়ে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে চান? অবিলম্বে বিতর্কিত ও সাম্প্রদায়িক এ সিদ্ধান্ত তথা দেশব্যাপী মঙ্গল শোভাযাত্রা পালনের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে। অসাম্প্রদায়িকতার আড়ালে সাম্প্রদায়িকতা লালন করা বন্ধ করতে হবে। উল্লেখ্য মাতৃভাষা বাংলা মুসলমানদের ঈমানের অঙ্গ। কিন্তু মাতৃভাষা দিবসে ইউনেস্কোর ভিডিওতে বাংলাভাষাকে জায়গা দেয়া হয়নি। অথচ ইউনেস্কো হিন্দুদের আচার অনুষ্ঠান মঙ্গল শোভাযাত্রাকে বাংলাদেশের সংস্কৃতি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
বক্তারা আরো বলেন, মুসলিম জনগণকে পবিত্র দ্বীন ইসলামহীন করার লক্ষ্যে অপতৎপরতা চালানো হচ্ছে। যেমন মঙ্গল প্রদীপ জ্বালিয়ে, উলুধ্বনী দিয়ে, শাখা বাজিয়ে, মঙ্গল কলস সাজিয়ে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান শুরু করা হয়। পহেলা বৈশাখের মিছিলাদিতে ঢোলের ব্যবহার, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে হাতি, ঘোড়া ও কচ্ছপের প্রতীক এবং বিভিন্ন ধরনের মুখোশ সম্বলিত মঙ্গল শোভাযাত্রায় হাতে-মুখে, গালে আল্পনা এঁকে লাল পাড়ের সাদা শাড়ী, খোপায় হলুদ গাদা ফুলের মালা, হাতে শাখা চূরি পরা তরুণীদের উচ্ছলতা এবং বিদ্যাসাগরীয় চটি জুতা, বঙ্কিম চন্দ্রের কোঁচা, শরৎচন্দ্রের চাঁদর কাঁধে ফেলে তরুণদের প্রাণময় উচ্ছ্বাস, মুসলিম মহিলাদের সিঁথিতেও সিঁদুর, গলায় পুঁতির ও গজোমালা, হাতে শাখা ধারণ প্রভৃতি। তাছাড়া যেসব পশু-পাখী নিয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রা করা হয়, তাও এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের ধর্মীয় বিশ্বাস ও সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্যের পরিপন্থী। কেননা সংখ্যালঘু একটি জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় বিশ্বাস মোতাবেক পেঁচা মঙ্গলের প্রতীক ও লক্ষীর বাহন, ইঁদুর গণেশের বাহন, হনুমান রামের বাহন, হাঁস স্বরসতীর বাহন, সিংহ দূর্গার বাহন, গাভী রামের সহযাত্রী, সূর্য দেবতার প্রতীক ও ময়ূর কার্তিকের বাহন।
বক্তারা আরো বলেন, পহেলা বৈশাখ হিন্দু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন ধরনের পূজা ও উৎসবের দিন। এগুলো হলো-১) হিন্দুদের ঘটপূজা, ২) গণেশ পূজা, ৩) সিদ্ধেশ্বরী পূজা, ৫) চৈত্রসংক্রান্তি পূজা-অর্চনা, ৬) মারমাদের সাংগ্রাই ও পানি উৎসব, ৭) চাকমাদের বিজু উৎসব (ত্রিপুরা, মারমা ও চাকমাদের পূজা উৎসবগুলোর সম্মিলিত নাম বৈসাবি), ৮) হিন্দু ও বৌদ্ধদের উল্কিপূজা, ৯) মজুসি তথা অগ্নি পূজকদের নওরোজ, ১০) হিন্দুদের বউমেলা, ১১) হিন্দুদের মঙ্গলযাত্রা, ১২) হিন্দুদের সূর্যপূজাসহ বিধর্মীদের বিভিন্ন পালনীয় দিবস রয়েছে।
বক্তারা বলেন, মুঘল সম্রাট আকবর খাজনা আদায়ে সুষ্ঠুতা প্রণযনের লক্ষ্যে ৫ই নভেম্বর, ১৫৫৬ ঈসায়ীতে হিজরী সনের পরিবর্তে ফসলী সন প্রবর্তন করে। পরবর্তীতে ১৫৮৪ ঈসায়ীর ১০ই মার্চ বা ১১ই মার্চ থেকে বাংলা সন বা বঙ্গাব্দ হিসেবে গণনা শুরু হয়। তাহলে ঐতিহাসিকভাবেই পহেলা বৈশাখ ‘হাজার বছরের ঐতিহ্য’ এ কথা ভুল। আকবরের সময়কাল থেকেই পহেলা বৈশাখ উদযাপন শুরু হয। তখন প্রত্যেককে চৈত্র মাসের শেষ দিনের মধ্যে সকল খাজনা, মাশুল ও শুল্ক পরিশোধ করতে হত। বাংলা সন প্রবর্তনের মুল হোতা সম্রাট আকবর একজন মোঙ্গলীয়ান। এর প্রবর্তক বাদশাহ আকবর এদেশীয় বাঙালী ছিলো না বা বাংলাভাষীও ছিলো না এমনকি বাংলাদেশীও ছিলো না । সে ছিলো সাম্রাজ্যবাদী ও মোগল বংশোদ্ভূত।
বক্তারা বলেন, পহেলা বৈশাখের উৎসব মুসলমানদের ধর্মীয় বিশ্বাসের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। পহেলা বৈশাখ মুসলমানদের পবিত্র ঈদ নয়। কাজেই যেখানে সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম পবিত্র দ্বীন ইসলাম সেখানে মুসলমানদের পহেলা বৈশাখের বোনাস বাদ দিয়ে মহাপবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষ্যে বোনাস দেয়া উচিত।
মানবন্ধনে সমন্বয় করেন, পীরজাদা, পীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বর্ষীয়ান বিপ্লবী জননেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্জ মাওলানা মুহম্মদ আখতার হুসাইন বুখারী, (পীর সাহেব, টাঙ্গাইল), সভাপতি- বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ। এছাড়া বক্তব্য রাখেন- আলহাজ্জ কাজী মাওলানা মুহম্মদ আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী, সাধারণ সম্পাদক- বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ, আলহাজ্জ হাফেজ মাওলানা মুহম্মদ আব্দুস সাত্তার।