জামায়াতের মওদুদী সালাফীবাদ প্রচারকারী এনটিভি’র লাইসেন্স বাতিলের দাবি

ঢাকা : কুখ্যাত দুর্নীতিবাজ ফালুর এনটিভিতে তথাকথিত ইসলামী প্রোগ্রামে মওদুদী জামাত এবং সালাফি মতাদর্শের লোক দিয়ে প্রোগ্রাম করে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার নামে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে এবং টাকার বিনিময়ে কোন রকম যাচাই বাছাই ছাড়াই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে দুর্বল করার জন্য সংবাদ পরিবেশন করে যাচ্ছে। এসব অপরাধে এনটিভির লাইসেন্স বাতিলের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ। মঙ্গলবার ১৫ অক্টবর জাতীয় প্রেসক্লা‌বের সাম‌নে এক মানববন্ধ‌নে বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগসহ সমমনা ১৩ দল সমবেত হয়ে এ দাবি জানান।

পাশাপাশি সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালনে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতার দাবীসহ আরও কিছু দা‌বি তু‌লে ধ‌রেন । তা‌দের দা‌বি গু‌লো হ‌লো’:

* জামাত-শিবির, মৌলবাদ, জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানকারী রাজারবাগ শরীফের বিরুদ্ধে দুর্নীতিবাজ ফালুর এনটিভির মিথ্যা অপপ্রচারের প্রেক্ষিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ দাবী।

* রাজারবাগ দরবার শরীফের সাথে যোগাযোগ না করে এবং তথ্য যাচাই না করে বক্তব্য না নিয়ে রাজারবাগ শরীফের নামে মিথ্যা রিপোর্ট প্রকাশ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ইসলামী শক্তিকে দুর্বল করার ষড়যন্ত্র। এ সম্পর্কে সরকারের কঠোর পদক্ষেপের দাবীসহ ওহাবী সালাফি মতবাদ এবং মওদুদী ইসলাম প্রচারকারী এনটিভি’র লাইসেন্স বাতিল করাতে হ‌বে।

বক্তারা বলেন, কুখ্যাত দুর্নীতিবাজ ফালুর এনটিভিতে তথাকথিত ইসলামী প্রোগ্রামে মওদুদী জামাত এবং সালাফি মতাদর্শের লোক দিয়ে প্রোগ্রাম করে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার নামে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। ইসলামী জিজ্ঞাসা নামক অনুষ্ঠানে যাদেরকে এনটিভি আমন্ত্রণ করে বা যারা প্রশ্নের উত্তর দেয়- তারা সাঈদীর বেয়াই কামালউদ্দীন জাফরী, সালাফি নেতা মুজাফফর বিন মহসিনের মতো মওদুদী জামাতের লোকেরা। যারা ইতিপূর্বে জামাতীরা সালাফি মওদুদীদের মদদ দিয়ে আসছিল। তাই ওলামা লীগের দাবী হলো- দেশে জঙ্গীবাদ সালাফীবাদ প্রচারের দায়ে এবং জামাত জঙ্গিদের সমূলে উৎখাত করার জন্য এনটিভির লাইসেন্স বাতিল করা।

বক্তারা আরো বলেন, রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর সাহেব ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি নিজেও সব সময় সত্যের উপর চলেন এবং মুরীদদেরকেও চলতে বলেন। উনার কথা না শুনে যদি কেউ বা কারা কোথায় কি করলো তার দায়ভার রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর সাহেব ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার উপর বর্তায়না। যেমন ক্যাসিনো সম্রাট, ইসমাইল, খালেদ, জিকে শামীম তথা ছাত্রলীগের অভিযুক্ত কর্মকান্ডের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগকে দায়ী করা যায়না।

ক্যাসিনো দুর্নীতি দমনসহ সব কর্মসূচীতে প্রধানমন্ত্রীর সা‌থে আমৃত্যু থাকার অঙ্গীকার করেছে আওয়ামী ওলামা লীগ।

বক্তারা ব‌লেন, আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বে শেখ হাসিনা ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন। শেখ হাসিনার বিকল্প অন্য কাউকে মেনে নিবে না । আমরা তার সা‌থে আজীবন আ‌ছি ।

বক্তারা বলেন, বর্তমানে দেশে শিশু-কিশোররাও পর্নোগ্রাফিতে ভয়ঙ্কর আশক্ত। সারা দেশে হাজার হাজার সন্ত্রাসী কিশোর গ্যাংদের অস্তিত্ব ধরা পড়ছে। মারাত্মকহারে বেড়ে চলছে খুন-ধর্ষণ। অন্যদিকে দুর্নীতি, জুয়ায় সয়লাব সারাদেশ। পাশাপাশি দায়িত্বহীনতা ভেজাল, মজুদদারী, অনিয়ম আর বিশৃঙ্খলায় বিপর্যস্থ সারাদেশ ও জনগণ। অথচ ৯৮ ভাগ মুসলমানের দেশে এমনটি হওয়ার কথা ছিলনা।

নেতৃবৃন্দ বলেন, যদি সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ যথাযথভাবে পালন করা হতো তাহলে তার বরকতে সবার মধ্যে ইসলামী চেতনা আসতো এবং সব পাপাচার, অনাচার, ব্যাভিচার, অনিয়ম, ভেজাল, দুর্নীতি বন্ধ হতো।

ওলামা লীগ নেতৃবৃন্দ ভ্যাকসিন হিরোসহ মোট ৪০টি আন্তর্জাতিক পুরস্কারের ভূষিত বিশ্বের শীর্ষ নেতৃত্বের তালিকায় দ্বিতীয় স্থান অধিকারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্যাসিনো ও জুয়া এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করায় আন্তরিক অভিনন্দন জানান।

সমাবেশ ও মানবন্ধনে সমন্বয় করেন, লায়ন আলহাজ্জ মাওলানা মুহম্মদ আবু বকর সিদ্দিক, সহ-সভাপতি- বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ। বক্তব্য রাখেন- সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্জ কাজী মাওলানা মুহম্মদ আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী, সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদের সভাপতি- আলহাজ্জ হাফেজ মাওলানা মুহম্মদ আব্দুস সাত্তার, সহ সভাপতি- মাওলানা মুহম্মদ শোয়েব আহমেদ গোপালগঞ্জী, সাংগঠনিক সম্পাদক- হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল জলিল, মাওলানা মুহম্মদ শওকত আলী শেখ ছিলিমপুরী, দপ্তর সম্পাদক- বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ, আলহাজ্জ মাওলানা মুহম্মদ মুজিবুর রহমান আল মাদানী প্রমুখ।