গণভোট হলে ৯৯ ভাগ মানুষ রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিপক্ষে ভোট দেবে

ঢাকা : ‘ঠিকঠাকভাবে গণভোট হলে সুন্দরবনের পাশে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণকে দেশের ৯৯ ভাগ মানুষ সমর্থন দেবে না। তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ এ কথা বলেছেন।

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, সরকারের সুন্দরবনবিনাশী একগুঁয়ে তৎপরতার কারণে দেশের ভয়াবহ ক্ষতি হবে। তাই অবিলম্বে সরকারকে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ থেকে সরে আসতে হবে।’

শনিবার রাজধানীর পুরানা পল্টনস্থ মুক্তিভবনে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘৫ জানুয়ারি বা সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষষের মতো নয়, সুষ্ঠভাবে ভোট দিতে পারলে জনগণ সুন্দরবন ধ্বংসে কোনো প্রকল্পকে সমর্থন দেবে না।’

তিনি বলেন, ‘সুন্দরবন বিনাশে সরকার তার একগুঁয়ে বিবেচনাহীন জনবিরোধী তৎপরতা অব্যহত রেখেছে। এই কারণে সুন্দরবন বিনাশী বিদ্যুৎকেন্দ্র ছাড়াও অন্যান্য অপৎতপরতা বেড়েছে। কতিপয় দেশি-বিদেশি গোষ্ঠীর মুনাফা উন্মাদনা সরকারকে বধির করেছে। রামপাল প্রকল্প সামনে রেখে একে একে ওরিয়নের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, শিপইয়ার্ড, সাইলো, সিমেন্ট কারখানাসহ নানা বাণিজ্যিক ও দখলদারী অপৎতরতা বেড়েছে।’ তিনি সরকারকে মুনাফার অন্ধত্ব থেকে মুক্ত হয়ে চোখ খুলে সুন্দরবনের দিকে তাকাতে অনুরোধ জানান।

আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘বিশ্বের এবং বাংলাদেশের একজনও বিশেষজ্ঞ পাওয়া যাবে না, যিনি মনে করেন রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে সুন্দরবনের ক্ষতি হবে না। শুধুমাত্র কোম্পানির স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরাই এই দাবি করেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘এটা প্রকৃতির বিশাল সম্পদ, কাঠ বা জমি নয়। সুন্দরবনকে বাঁচিয়ে বাংলাদেশকে বাঁচাতে হবে।’

অবিলম্বে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের সব চুক্তি ছুঁড়ে ফেলে সুন্দরবন রক্ষার দাবিতে এ সংবাদ সম্মেলনে আগামী ১৮ জুলাই ঢাকাসহ দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশ, ১৯ থেকে ২৬ জুলাই ঢাকা ও সুন্দরবন সংলগ্ন জেলাগুলোতে পদযাত্রা সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক প্রতিবাদ এবং ২৮ জুলাই প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন হায়দার আকবর খান রনো, সাইফুল হক, মোশাররফ হোসেন নান্নু, বজলুর রশীদ ফিরোজ, অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম, জাহাঙ্গীর আলম ফজলু, অধ্যাপক মোশাহীদা সুলতানা, রজত হুদা, শহীদুল ইসলাম সবুজ, মহিনউদ্দিন চৌধুরী লিটন, সুবল সরকার, নাসির উদ্দিন নাসু, শামসুল আলম, ফখরুদ্দিন কবির আতিক প্রমুখ।