সমুদ্র সম্পদ আহরণে কাজে লাগবে দেশি জনশক্তি

নিউজ নাইন২৪ডটকম, ঢাকা: গ্যাসসহ প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণে আমরা এখনও বিদেশি জনশক্তির ওপর নির্ভরশীল। ফলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা বাবদ বাইরে চলে যাচ্ছে বিপুল পরিমাণে অর্থ। একই সঙ্গে এসব ক্ষেত্রে দেশে যোগ্য জনবল না থাকায় বিদেশি নানা প্রতিষ্ঠানের দ্বারস্থ হতে হচ্ছে আমাদের। প্রাকৃতিক নানা সম্পদ আহরণ ও রক্ষণাবেক্ষণে এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চড়া মূল্যে সমঝোতা স্মারকও (এমওইউ) সই করছে বাংলাদেশ। বিপরীতে এসব কোম্পানির কাছ থেকেই আমাদের তেল ও গ্যাস ক্রয় করতে হচ্ছে। যাতে অনেক বেশি অর্থের অপচয় হচ্ছে। পাশাপাশি বিদেশি কোম্পানিগুলো ইচ্ছেমতো তেল-গ্যাস বিক্রয় করছে। এতে অন্য বেশকিছু দেশের ন্যায় এক রকম অসহায় অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশেরও।

এদিকে কিছুদিন আগে ভারত ও মিয়ানমারের অপদখল থেকে বাংলাদেশ নতুন সমুদ্রসীমা উদ্ধার করায়, সমুদ্রের প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ ও রক্ষণাবেক্ষণ জরুরি হয়ে পড়েছে। এমন অবস্থায় এসব ক্ষেত্রে দেশি জনশক্তি সৃষ্টির বিকল্প নেই। সেজন্য দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় বিশেষ করে বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ ও রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত বিষয় চালু হচ্ছে।

জানা গেছে, প্রাকৃতিক সম্পদ বিশেষ করে সমুদ্র সম্পদ রক্ষা ও রক্ষণাবেক্ষণে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (ডুয়েট) ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স নামে একটি ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হবে। যার আওতায় থাকবে বেশ কয়েকটি বিভাগ। একই সঙ্গে চালু হচ্ছে হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট, ক্যাটারিং সার্ভিস এবং ফুড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মতো আরও কয়েকটি বিষয়ও। একনেক বৈঠকে ২৭৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ‘ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন’ শীর্ষক একটি প্রকল্প পাস হয়েছে। প্রকল্পের সময় প্রাক্কলন করা হয়েছে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর নাগাদ।

প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য- ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে দুটি বিভাগ ও দুটি ইনস্টিটিউট স্থাপন। ইনস্টিটিউট দুটি হলো- ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এবং ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি। একই সঙ্গে চালু হতে যাওয়া বিভাগ দুটি হলো- ডিপার্টমেন্ট অব রিনিউয়েবল এনার্জি এবং ডিপার্টমেন্ট অব ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং।