আগুনে পুড়ে গেল দিল্লির বিখ্যাত প্রাকৃতিক জাদুঘর

নিউজ নাইন২৪ডটকম, ডেস্ক: দিল্লির এফআইসিসিআই কমপ্লেক্সে প্রাকৃতিক ইতিহাস সমৃদ্ধ জাতীয় যাদুঘরটি আগুন পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। যাদুঘরটি দিল্লির কেন্দ্রভাগে অবস্থিত। কানুঘাট এলাকার কাছে মান্ডি হাউসে এফআইসিসিআই কমপ্লেক্সে যাদুঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত। স্থানীয় সময় গত রাত ১টা ৪৫ মিনিটের দিকে ছয় তলা ভবনটির সবচেয়ে উপরের তলায় এই আগুন লাগে। ওই ভবন থেকে আগুন অন্যান্য তলায় খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তবে এফআইসিসিআই কমপ্লেক্সের অডিটোরিয়াম এবং এর হেড কোয়ার্টার আগুনের লেলিহান শিখা থেকে রক্ষা পেয়েছে। ভবনটিতে কিছুদিন যাবত সংস্কারের কাজ চলছিল। তবে দুর্ঘটনার সময় ভিতরে অল্প কয়েকজন মানুষ ছিলেন । ৩৫ টি অগ্নি নির্বাপক ব্যবহার করে অবশেষে ভোর পাঁচটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনা সম্ভব হয়। এএনআই-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, আগুন এখনো স¤পুর্ন নেভেনি। সবচেয়ে উঁচু তলায় এবং অন্যান্য কিছু অংশে এখনো আগুন জ্বলতে দেখা যাচ্ছে। তবে ফায়ার ব্রিগেডের একজন কর্মকর্তা রাজেশ পানোয়ার সংবাদ সংস্থা এনএনআই’কে বলেছেন, ভবনের আগুন নেভানোর যন্ত্র ঠিক মতো কাজ করছিল না। ফলে আগুন খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে । এ কারণে যাদুঘরের ঐতিহ্য রক্ষা করা যায় নি।

সম্পূর্ণরূপে তা পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। আগুন নেভাতে যেয়ে ছয়জন উদ্ধারকর্মী আহত হয়েছে। তাদের নিকটস্থ রাম মনোহর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আহতদের মধ্যে দুই জনের অবস্থা সংকটাপন্ন। ঐতিহ্যবাহী প্রাকৃতিক ইতিহাস নির্ভর যাদুঘরটিতে কিভাবে আগুন লেগেছে এখন তার কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রী প্রকাশ যাদবকার দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তিনি বলেন এ ক্ষতি অপূরণীয়। সমগ্র ভারতে এ ধরনের আরো ৩৪টি যাদুঘরের অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার ব্যাপারে তিনি গুরুত্বারোপ করেন।

পরিবেশ মন্ত্রী প্রকাশ জাভেদকর বলেছে, আগুনে ঠিক কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা এখনও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা নিরুপণ করতে পারেননি। তবে পুরানো সংগ্রহগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। জাদুঘরের বাইরে জাভেদকর সাংবাদিকদের বলেছে, ‘এটা প্রকৃত ক্ষতি। এই ক্ষতি অর্থে পরিমাপ করা যাবে না। এখানে খুবই পুরানো কিছু উদ্ভিদ ও প্রাণীর নমুনা ছিল। এদের কিছু ছিল খুবই দুর্লভ।’ অবিলম্বে দেশের ৩৪টি জাদুঘরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখারও নির্দেশ দিয়েছে জাভেদকর।
১৯৭৮ সালে এ জাদুঘর চালু হয়। এখানে দুর্লভ প্রজাতির প্রজাপতি, ব্যাং, সাপ, টিকটিকি, বাঘ ও চিতাবাঘের নমুনা সংরক্ষিত ছিল।